পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্র, চারি দিকে বড়ো বড়ো প্রাচীন বনস্পতির ছায়া । ছায়ালোকখচিত অরণ্যবীথিকার স্নিগ্ধ শান্তি গিয়ে পৌচেছে তরঙ্গমুখর সমুদ্রের চঞ্চলতায় । এ বাড়ি সহর থেকে দশ মাইল দূরে। নইলে দর্শনার্থীর সংখ্যা দুঃসহ হয়ে উঠত। সময় সঙ্কীর্ণ। ইতি ৩১ অক্টোবর ১৯৩৪ দাদা Y & & ৮ নভেম্বর ১৯৩৪ હૈં কল্যাণীয়াসু অামার নামে অসংখ্য অসত্যের প্রচার হয়ে থাকে তার মধ্যে আরো একটা তোমার কাছে শোনা গেল । সে হচ্চে অামার ব্লাড প্রেশরের জনশ্রুতি । মৃত্যুর সহস্র দ্বার খোলা রয়েছে কিন্তু রক্তের উত্তেজনায় আমি মরব না সে সংবাদ আমার ভালো করেই জানা আছে। যুরোপে এবং এ দেশে বড় বড় ডাক্তার আমার রক্তবেগ পরীক্ষা করে দেখেচেন, তারা বলেন আমার নাড়ী চেত্রিশ বছর বয়সের নাড়ী । এমন কি, তাদের মতে আমার কোনো দেহযন্ত্রেই ক্ষয় বা বিকৃতি ঘটে নি। অামার শরীরের একমাত্র অপরাধ তার তুৰ্ব্বলতা ! তাকে অতিপরিমাণে ক্লাস্ত করা হয়েছে। তার প্রতিকার, যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম । কিন্তু চারদিকের সকলের সম্মতি না থাকলে বিশ্রাম অসম্ভব । দায় দাবীর অস্ত নেই– বাজে কাজের মহাকায় দানব প্রত্যহই 3 ао