পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেছে নেপথ্যে । এখন আসর জমিয়েছে হিমঝুরি ফুল । ও নামটা আমারই দেওয়া নাম, ফুল তোমার চেনা কিনা জানি নে। পশ্চিমে এ গাছের খুব প্রাদুর্ভাব । লম্বাবৃন্তওয়ালা শাদা শাদা ফুল— কেবলি ঝরে ঝরে পড়চে গাছতলায়। দীর্ঘ উচু গাছ, নিমের মত পাতা, ফুলে শাদা হয়ে গেছে তার শিখর, আমার মাথার মতো । গন্ধটি সুমিষ্ট । উত্তর দিক থেকে হাওয়া দিচ্চে, কোনো কোনো গাছের পাতা ঝরে পড়তে শুরু হোলো । দিন যত এগোতে থাকে মৰ্ম্মরিত বনভূমির মধ্যে রৌদ্রের লীলা ততই লাগে ভালো । এই অবারিত প্রান্তরের মধ্যে শীতের মধ্যাহ্ন আমার কাজ ভুলিয়ে দেয়— দিকপ্রান্তের নীলিমার মধ্যে আমার মুগ্ধদৃষ্টি হারিয়ে যায়। ইতি ২২ কাৰ্ত্তিক ১৩৪১ लोंप्री > & S. ২১ নভেম্বর ১৯৩৪ \ર્ક শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু তোমার সঙ্গে অনেকদিন তর্ক করি নি আজ করব। অামাকে বিজয়নগ্রমের মহারাণী ভক্তি নিবেদন করেছিলেন, সেই ভক্তির সঙ্গে পাণ্ডার পা পূজোর সমমূল্যতা অবধারণ করেছ। উভয়ের মধ্যে প্রভেদ কী সেটা বলা আবশ্যক। আমাকে ভক্তি করার মধ্যে ঐহিক বা পারত্রিক কোনো ফললাভের প্রলোভন নেই । বোধ করি মহারাণী আমার মধ্যে ভক্তিযোগ্য কোনো মহত্ত্ব ३ १ २