পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি ভাবিই নে— খামক যমদূত আমার ঝুটি ধরে যদি কুন্তীপাকের দিকে টানাটানি করে তবে তার সেই রূঢ় ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করব, বলব তার যে মনিবের এমনতরো বুদ্ধিহীন হৃদয়হীন বিধিবিধান তার বিরুদ্ধে আমার চিরকালের বিদ্রোহ— তাকে ঘুষ দিয়ে স্বর্গে যেতে চাই নে— কেননা সেখানে গিয়ে শাস্ত্রীয় ভাষায় নিয়ত যার খোষামোদ করে আত্মরক্ষা করতে হবে তাকে অামি সম্মান করতে অক্ষম । যে বিধাতা আমাকে বুদ্ধি দিয়েচেন, মানুষভ্রাতার প্রতি শ্রদ্ধা দিয়েছেন, মানবপ্রেমের ত্যাগপরায়ণ তুঃসাধ্য সাধনার দিকে আহবান করেছেন, র্তাকে ভক্তি করেই আমার ভক্তিবৃত্তিকে ধন্য বলে মানি— র্তারই বিধান আমার যুক্তিতে আমার শুভবুদ্ধিতে সহজ বলে বোধ হয়, তাই আমার শিরোধাৰ্য্য । সজনীকান্ত আমাকে শ্রদ্ধা করতে করুণা করতে স্বভাবতই অক্ষম সে জন্ত্যে অামি তাকে দোষ দিই নে। অামার রচনায় বা ব্যবহারে নিশ্চয়ই এমন কিছু আছে যা তাকে এতই উদ্বেজিত করে যে তিনি আমাকে অপমান না করে থাকতে পারেন না । নিষ্কাম সাহিত্যসমালোচনার সঙ্গে তার প্রভেদ অাছে। যাকে আমরা শ্রদ্ধা করি ভালোবাসি তার ক্রটিকে নির্দেশ করা আমাদের কৰ্ত্তব্য হলেও তাকে অসম্মান করতে আমরা সহজেই কুষ্ঠিত হই। আমি জানি তিনি তার বন্ধুবান্ধবদের অপরাধ সম্বন্ধেও নিঃশব্দে ধৈর্য্য প্রকাশ করে থাকেন । সাহিত্যে র্তার অাদর্শ ই যদি একমাত্র অাদর্শ হয় এবং সেই আদশের সঙ্গে আমরা মিলিয়ে না চললেই আমরা যদি সৌজন্যের অধিকার २ १७