পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆ & ગ છે মার্চ 6כא אג હૈં কল্যাণীয়াসু তোমার কন্যা তোমারি সম্মানের দিকে তাকিয়ে তোমাকে ভৎসনা করেচে, আমার মানরক্ষার কথা ভাবে নি। একটু বুঝিয়ে বলি, চিঠিটা তাকে শুনিয়ো – তুমি আমার কাছ থেকে কিছু চেয়েছিলে, এতে আমি খুসি হয়েছি। প্রমাণ হয়েছে তুমি আমাকে আপন করে অনুভব করেছে, তোমার মেয়ের পক্ষে তা সম্ভব হয় নি, তাই সে সঙ্কোচ বোধ করলে । তোমাকে কিছু দেবার সুযোগ পেলুম এতে আমার আনন্দ । খুকু তর্ক করতে পারত সে সুযোগ আমি নিজেই অযাচিতভাবে নিলুম না কেন । উত্তর এই, যদি তেমন করে দিতে হোতে তাহলে দামী জিনিষ না দিলে মান রক্ষা হোতো না । তাতে দেওয়ার আনন্দ ছাপিয়ে উঠত দেওয়ার কৃচ্ছ্বসাধন । কারণ সময় এখন এত খারাপ যে ধনীরাও আপন দারিদ্র্য স্বীকার করতে কুষ্ঠিত হচ্চে না । তুমি বিশেষভাবে সামান্য কিছু দাবী করেচ, তাতে দেওয়ার আনন্দ পেয়েছি, দেওয়ার দুঃখ কিছুই গায়ে বাজে নি, আর খুসি হয়েছি সঙ্কোচ করে নি বলেই। সঙ্কোচ করে নি বললে অতু্যক্তি হয়, তুমি বলেছিলে সুরুল থেকে পাঠিয়ে দিলে দাম দেবে। ঐটুকুর মধ্যে যে ছলনা ছিল বোধ হয় তারি জন্যে তোমার মেয়ের কাছে কথা শুনতে হোলো । কেন স্পষ্ট করে বলতে পারলে না যে অামি যদি তোমাকে আমাদের এখানকার তৈরি জিনিষ তোমাকে २४७