পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণীকে ও হৈমন্তীকে তোমার চিঠি দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে আমার সংবাদ জানতে পারবে । সংবাদ বিশেষ কিছুই নেই । আজ সায়াহে শুক্লনবমীর জ্যোৎস্নায় নৃত্যগীত হবে । ইতি ১ বৈশাখ ১৩৪১ দাদা > * 0 ২৬-২৭ এপ্রিল ১৯৩৫ હૈં কল্যাণীয়াসু দিনের বেলায় লিখি ! লেখায় শ্রান্তি এলে অপরাহ্লে কখনো ছবি আঁকতে বসি । দিন ফুরিয়ে গেলে বাইরে গিয়ে বসি সেই সময়টাতে দর্শনার্থীর সমাগম হয় । সন্ধ্যা হয়ে আসে যখন, তখন কোনো কোনো দিন এখানকার ছেলেমেয়ের ধরে তাদের কিছু একটা পড়ে শোনাতে, কবিতা, বা নাটক, বা গল্প । গল্পগুচ্ছ থেকে সুপরিচিত পুরোনো গল্প শোনবার জন্যেও ওদের আগ্রহ আছে । পশু শুনিয়েছি রাজটক, কাল শুনিয়েছি ক্ষুধিত পাষাণ । আজ ছিল ছুটি । সমস্ত দিন চলে তপ্ত হাওয়া, উড়তে থাকে ধুলো, সন্ধ্যার দিকে হাওয়ার বেগ বাড়ে, তাপ কমে, রাত্রে পড়ে ঠাণ্ড । এই দুরন্ত হাওয়ায় যখন চুল উড়ে পড়চে চোখে, টেবিলের উপর কাগজ পত্র সামলানো শক্ত হচ্চে এমন সময়ে তোমাকে চিঠি লিখতে বসলুম। এ মুলুকে খবর বলে কোনো বালাই নেই— এ তো কলকাতা সহর নয়— দিনগুলো জপমালার গুটির মতে, ૨ જે ગ