পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটার সঙ্গে অন্যটার বেশি কিছু তফাৎ নেই । আমার তরফে যা কিছু সংবাদ সে ঘটনার নয়, সে রচনার । একটা কবিতার বই ছাপা চলচে– দিনে দিনে সেটাকে ভরে তুলচি । কাল সন্ধ্যার পরে লোক এল, চিঠি রইল বন্ধ । আজ সকালে ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছিল। বৌমার পাচিল-দেওয়া বাগানটার কোণে বসে প্রথম-প্রাতরাশটা সেবন করচি । কাচা রোদ পড়েছে পাচিলের গায়ে লতানে আমগাছের পরে । একজন অধ্যাপক প্রণাম করতে এলেন আজ র্তার জন্মদিন । কিছু র্তাকে মিষ্টান্ন খাইয়ে দিলুম। আরো দুটি একটি বন্ধু দেখা দিলেন । বেলা বেড়ে চলল। এলেম ঘরের মধ্যে । এলো এক ঝুড়ি ডাকের চিঠি— বিলেতের ডাক । কিছু পড়তে হোলো, কিছু দিলেম রেখে, হয় তো শেষ পর্য্যন্ত পড়তে ভুলেই যাব । প্রফ এলো গোট কতক । সেগুলোও সেরেছি | তোমার অসমাপ্ত চিঠিখান ডেস্কের উপর চীৎ হয়ে পড়ে তামার দিকে তাকিয়ে আছে। আবার সুরু করে দিলুম। কিন্তু তাগিদ এলো স্বানে যাবার । এমন দিন ছিল যখন স্নানাহারে নিদিষ্ট সময়ের নিয়ম মানি নি। আজকাল আমার পরিজনবর্গ উৎপাত করে, বলে, তখনকার কালের অনিয়ম এখনকার কালে সইবে না, অর্থাৎ আমাকে বৃদ্ধ বলে খোটা দেয়— শুনে আমার রাগ হয়, ইচ্ছে করে প্রতিবাদ করি, প্রমাণ করি আমি তাদের চেয়েও বয়সে কাচা । অবশেষে বারবার তাগিদে স্নান করতে যেতেও হয় । অতএব ইতি ১৪ বৈশাখ ১৩৪২ प्रांप्री २ *२