পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিগন্তে কালো মেঘের আসর জমে উঠল— হঠাৎ সুদূর প্রান্তর পেরিয়ে গর্জন করে প্রবলবেগে ছুটে এল ঝড়ের হাওয়া, একটু পরেই তার পিছন পিছন এল মূষলধারে বর্ষণ— দেখতে দেখতে ভেসে গেল মাঠ বাট— তার পর থেকে রিমঝিম্ ধারাপতন চলেইচে । এখন নিকষকালো অন্ধকার— ঝিল্লিধ্বনিতে আকাশের নাড়ীতে কাপন ধরিয়ে দিয়েছে । ভিজে হাওয়ায় গায়ে বালাপোষ জড়িয়ে বসে আছি । ইচ্ছে করচে অালোট নিবিয়ে দিয়ে অন্ধকারের গভীর তলায় চোখটাকে মনটাকে অবগাহন স্নান করিয়ে নিই। এখনি তাই করব । এখানকার কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির ভারি একটি গম্ভীর মহিমা আছে । আকাশ নিৰ্ম্মল থাকলে মনে হয় তারাগুলো যেন খুব কাছে এসেছে, তার অপরিসীম রহস্যে মন অভিভূত হয়। আজকাল মাঝে মাঝে অনেকদিন যদি আমার চিঠি বন্ধ থাকে তবে উদ্বিগ্ন হোয়ে না। আমার বয়সে সংসারের ছোটোবড়ো সমস্ত দায়িত্বকে অস্বীকার করবার সময় এসেছে– কৰ্ত্তব্যে মন না দেওয়াই আমার এখনকার প্রধান কৰ্ত্তব্য। ইতি ৪ ভাদ্র > రి8వ 而怀t Wう> >