পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তি গেল বহিঃসৃত হয়ে । সনাতনীরা যদি এই অন্ধ সংস্কারের ভেদবুদ্ধিকেই, এই নরনারায়ণের অবমাননাকেই ধৰ্ম্মের অনুশাসন বলে আঁকড়ে ধরে থাকে তাহলে স্বদেশের মুক্তির সাধকেরা কদাচ তাদের এই আত্মবিনাশের পস্থাকে শ্রদ্ধা করতে পারে না । বিদেশী যারা বাহির থেকে আমাদের হাতে হাতকড়ি লাগিয়েছে, ভিতর থেকে হিন্দুরা নিজের হাতে তাদের চেয়ে আরও বেশি কড়া শিকল এটে দিয়ে সেই শিকলকে ফুলচন্দন দিয়ে পূজো করচে । আমাদের এই দুর্ভাগ্য নিয়ে কনগ্রেস সাহস করে সমালোচনা করে নি— মহাত্মাজি প্রভৃতি দুই একজন ব্যক্তিগত ভাবে করে থাকবেন । কনগ্রেসের এই ভীরতা তার কৰ্ত্তব্যবিরুদ্ধ— কিন্তু তবু কেন তুমি সনাতনীদের পক্ষ থেকে কনগ্রেসের নামে নালিশ এনেছ ত আমি বুঝতে পারলুম না। ইতি ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৫ দাদা 为本》8 ৮ জানুয়ারি ১৯৩৬ \હૈં কল্যাণীয়াসু ইনফ্লুয়েঞ্জায় পীড়িত হয়ে পড়ে আছি। পত্রাদি লেখা দুঃসাধ্য । এই ধাক্কায় দেহের ভাঙনের কাজ আরো কিছুদূর এগিয়ে দেবে। \లిS \రి