পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোলো । অনাবৃষ্টিতে ধরণীর রসসঞ্চয় নিঃশেষপ্রায় । পেপেগুলো বালখিল্য মুনিদের মতো গাছে ঝুলচে উপবাসে জীর্ণ, যে কয়টা লেবু ফলেছে তাদের অবস্থা দেখে আমার বাগান লজ্জিত । কাচা আমগুলো তুদিন বাদেই শুকিয়ে ঝরে পড়বে এমন তাদের ক্লিষ্ট দশা । অপরিণত ফলসা এখনো গাছে আছে কিন্তু তাদের ফল বলে গণ্য করা চলবে না । গাছভরা ছিল বেল, আমার চেয়ে সতর্ক লোকেরা সেগুলো গাছে রাখে নি, সরবর্তী লেবুগুলো আমাদের অগোচরে যাদের ভোগে লেগেছে তারা আমার অপরিচিত। লিচুগুলো চুরির যোগ্য অবস্থা হবার পূৰ্ব্বেই ধরাশয্যাশায়ী । এই দুৰ্গতির দিনে অনন্তগতি হয়ে আমার সাহিত্যবৃক্ষের ফল তোমাকে পাঠিয়েছিলুম, কিন্তু সেও নূতন গাছ থেকে পাড়া নয় । কিন্তু এই উপলক্ষ্যে বিনয় অামি করব না । ছাপবার সময় প্রফ দেখতে হয়েছিল, তখন তালুভব করেছিলুম এর মধ্যে জীর্ণতার কোনো লক্ষণ নেই। আমি তরুণের কবি, আমার লেখায় তার প্রমাণ কখনো ক্ষীণ হবে না । চিত্রাঙ্গদ বাসন্তীকে লক্ষ্য করেই পাঠিয়েছিলুম, কেননা ছাপার অক্ষরের অন্তরালে নৃত্যের রূপ প্রচ্ছন্ন । তুমি নাচ দেখ নি অতএব এটা তোমার কাছে নিরর্থক। অন্ত বই দুটি তরুণদের হাতে পৌচেছে এতে আমি যথার্থই খুসি হয়েছি। আমার বিশ্বাস ওরাই এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে । এর মধ্যে তথ্য নেই, ঘটনার বিবরণ নেই, পুরাণ কথার ব্যাখ্যা নেই। এর মধ্যে যে চিন্তার ও রসের ধারা অাছে সে তাদেরই উপভোগ্য যাদের বুদ্ধি ও হৃদয় তাজা, පදිංtz