পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসীমের আনন্দ এবং আহবান যে বিশ্বপ্রকৃতির সৌন্দর্য্যে ও মানবপ্রকৃতির বিচিত্র মধুরতায় আমাদের অন্তরবাসিনী রাধিকাকে কুলত্যাগিনী করে উতলা করচে প্রতিনিয়ত, তার তত্ত্ব আমাকে বিস্মিত করেচে। কিন্তু আমার কাছে এই তত্ত্ব ছিল নিখিল দেশকালের— কোনো বিশেষ দেশে বিশেষ কালে বিশেষ পাত্রে কতকগুলি বিশেষ অাখ্যায়িকায় আবদ্ধ করে এ’কে আমি সঙ্কীর্ণ ও অবিশ্বাস্ত করে তুলতে পারি নি— আজও পারি নে নিক্সন সাহেবের দৃষ্টান্ত সত্ত্বেও । আমি মানি রসস্বরূপকে, যার পরমানন্দের মাত্রা জীবে জীবে । আমি সেই আনন্দকে উপলব্ধি করতে চাই বিশ্বের সর্বত্র— বিশ্বপ্রকৃতিতে বিশ্বমানবে । সত্যকে প্রত্যক্ষ দেখবার সাধনা অামার, রূপককে সত্য বলে কল্পনা করা কেবল যে আমার পক্ষে অনাবশ্যক তা নয় কিন্তু তা বাধাজনক । তবু বুঝতে পারি আমার পুরুষের স্বভাবে যেটা যথেষ্ট, মেয়েদের স্বভাবে তা নয় । তোমাদের উপাসনা পালন করা সেবা করা, অর্থাৎ ঈশ্বরকেও তোমাদের নারীপ্রকৃতির কাছে নির্ভরশীল করে তবে তোমরা আনন্দ পাও । ক্ষতি নেই। যেখানে তার সত্য প্রয়োজন আছে সেখানে তার উপায় থাকা ভালো । কিন্তু তবু আমার মনে হয় তোমাদের এই প্রবৃত্তিকে চরিতার্থ করবার স্থান থাকা উচিত মানবলোকে, জানা উচিত মানুষের সেবাতেই ঈশ্বরের সেবা । শিলাইদহের বৈষ্ণবীর আচরণে এই সত্যের আভাস পেয়েছিলুম। কিন্তু যে পথ তোমার চিরাভ্যস্ত আনন্দের পথ তার গভীরে সত্য নেই এমন কথা বলি নে— তুমি নিঃসন্দেহ জেনে বা না জেনে সেই צס\ס\