পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুরঘরের সেই শাশ্বত সেবাই ত কবিদের হাতে। আমাদের এই সাজের ফুল তোমরাও ব্যবহার করতে পার— যেমন করে ব্যবহার করে বাগানের ফুল – পূজারি ঠাকুরের পথ তাকিয়ে তোমার ঠাকুরের অপমান করো কোন সাহসে ভেবে পাই নে । তার হাতের পূজার বিশেষ মূল্য আছে না কি তার কাছে ? তাহলে আমি ম্লেচ্ছ যে ঠাকুরঘরের দ্বার খোলা পাই দিন রাত্র, সেখানে কেবলমাত্র তারই দ্বার রুদ্ধ। ভুল কোরো না, আমি খুবই বেঁচে আছি, গভীর আনন্দে আছি । সে আনন্দের প্রকাশ তোমার অভ্যস্ত পথে নয় বলেই তোমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। আমার আনন্দ আজও নব নব ভাষার ভঙ্গীতে রূপ নিচ্চে, সে রসে যাদের স্বাভাবিক অধিকার আছে তারা চিনতে পারবে। যারা কেবলি এক অভ্যাস থেকে আর এক অভ্যাসের গণ্ডীতে বাধা পড়ে— তারা তাদের অভ্যাসের বাইরেকার রসউৎসে পৌঁছতে পারবে না। ক্ষতি কী, স্বভাবদত্ত তাদের বরাদ থেকে তারা বঞ্চিত হয় নি । যে জনসাধারণকে গণমহারাজবগের মধ্যে ফেলেছ, তাদেরই ভিতরে একটি স্বচিহ্নিত সীমা একে যত বীভৎসতা দেখতে পাও সেইখানেই– আর মনে কর সেইটে এড়িয়েই তোমার শুচিত বঁচিয়ে চলচ । আর তার বাইরে যেখানে তোমার প্রত্যহ স্বচ্ছন্দ সঞ্চরণ, যেখান থেকে তাড়কেশ্বরের পাণ্ডা ও পূজারিঠাকুরদের আমদানি, সেখানকার সকল কলুষ সকল বীভৎসতা অভ্যাসের অন্ধতাবশত নির্বিচারে সয়ে যাও । এ কথা মনে আনতে পারো না পাপের ঘূণ্যতা জাতিবর্ণের মধ্যে বদ্ধ নয়,