পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেখান দিয়ে তারুণ্যের প্রবাহ বয়ে চলেছে তার তীরে অাছি বটে কিন্তু আছি শিখরচুড়ায়। প্রবাহিণীর কলধ্বনি শুনতে পাই, চলচাঞ্চল্যও চোখে পড়ে। কিন্তু থাকি নিরাসক্ত। সেই নিরাসক্তির ভূমিকাতেই প্রশস্ত আকাশে গানের স্বরবৈচিত্রা ছন্দোবৈচিত্র্যে খেলবার জায়গা পায়। গিরিশৃঙ্গ যেমন ফাল্গুনের সূৰ্য্যতাপে তুষারবিগলিত নিৰ্ব্বরধারা দান করে যায় দূর দেশ দেশান্তরকে, আমিও তেমনি দূর থেকেই দান করে যাব নব নব কালকে নবীন নবীনাদের গান। যদি অত্যন্ত নিকটে তাদের সমভূমিতে থাকতুম তাহলে এই ধারায় থাকত না এত অবাধ দাক্ষিণ্য, পদে পদে অনেক ধুলো বালি একে নিকটের সীমায় অবরুদ্ধ করত । ইতি ২৮৷১০৩৬ দাদা סי • 5 [ শ্ৰীনিকেতন ] ১৯ নভেম্বর ১৯৩৬ હૈં কল্যাণীয়াসু আমার সেক্রেটরি কলকাতায় । আমার কাজের ভার দুৰ্ব্বহ । শান্তিনিকেতন ছেড়ে পালিয়ে এসেছি শ্রীনিকেতনের বাড়িতে। এই জায়গাটাতে শ্রীর চেয়ে শান্তিই বেশি। তেতালার নির্জন ঘরে হেমন্তের স্বর্ণালোকপ্লাবিত উন্মুক্ত আকাশের মধ্যে দেহ মন নিমগ্ন । শীতকাল অতিথি সমাগমের সময়। দূর দেশ v\Ot