পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে দর্শনার্থী আসচে– শ্রদ্ধা জানিয়েই চলে যায়, আমার অবকাশকে ভারগ্রস্ত করে না । ৩ আগ্রহায়ণ ১৩৪৩ দাদা -ર હ 8 ઉં কল্যাণীয়াসু শ্রীনিকেতন থেকে ফিরে এসেছি। সেখানে নির্জনে তেতালার ঘরে খোলা আকাশের মাঝখানে একটা মুক্তির অবকাশ ছিল। অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত স্বচ্ছ গভীর অন্ধকারে আমি যেন নক্ষত্রলোকের নীরব সভাকবির মতো বিরাজ করতুম। বামে সূর্য্যোদয় এবং দক্ষিণে সূর্য্যাস্তের মাঝখান দিয়ে বইত আমার চিন্তাধারা । এখানে জনতা এবং কৰ্ম্মজালে আবৃত করে রাখে মনকে— খাচার পাখীর মতো সে কেবলি পালাবার ফাক খুঁজতে থাকে । ইচ্ছা আছে এখান থেকে ছুটি পেলেই পদ্মাতটে শিলাইদহের চরে গিয়ে আশ্রয় নেব । নিজের কাছ থেকে দেড় দেবার মতো সেখানে যেমন খোলা দরজা এমন আর কোথাও নেই । দাদা owóጫ