পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগবতে আমিও একদিন ডুব মেরেছি— কিন্তু আমার যে-পথ আমাকে সেইখানে নিয়ে গিয়েছিল সেই পথই আমাকে সেখান থেকে বের করে নিয়েও এল— যদি ওখানে আমাকে কোনো কারণে থাকতেই হোত বাসিন্দা হয়ে থাকতে পারতুম না বন্দী হয়ে থাকতুম। আমি র্যাকে পাই বা পেতে চাই কেবলি এগিয়ে গিয়ে তাকে পেতে হয়, আড্ডা গেড়ে বসলেই গ্রস্থিটাকে পাই সোনাটাকে ফেলে দিয়ে। নানা রকম চিহ্ন দিয়ে চেহারা দিয়ে কাহিনী দিয়ে সদরের গেট ও খিড়কির প্রাচীর দিয়ে তোমাদের পাওয়াটাকে খুব পাকা করে নিয়ে তোমরা ভোগ করতে চাও— আমি দেখি আমার যিনি পাওয়ার ধন ঐ সমস্ত পাকা প্রাচীরই র্তার পালাবার বড়ো রাস্ত । মন্দির থেকে দৌড় মারবার জন্যেই তার রথযাত্র। আমার সম্পদকে সুনির্দিষ্ট সুরক্ষিত করবার জন্যে আমি আমার পিতামহদের লোহার সিন্ধুকটাকে কাজে লাগাতে চাইনে, ওজনদরে সে সিন্ধুক যতই ভারী ও কারিগরিতে যতই দামী হোক না । আমার সম্পদ রয়ে গেল আকাশে আলোতে বাতাসে আর আমার অন্তরাকাশে । আর র্তার পরিচয় রইল পৃথিবীর সকল কবির কাব্যে, কলারসিকের চিত্রে নৃত্যে গানে, মনীষীর মননে, কৰ্ম্মীর কৰ্ম্মে, পৃথিবীর সকল বীরের বীৰ্য্যে, ত্যাগীর ত্যাগে । এরা যে চলেচে র্তারই সঙ্গে যুগে যুগে তারই পথে পথে । কোনো বাধা বাক্যে তারা ধরা দেয় না, বাধা মতে আটক পড়ে না, বাধা রূপের শিকল পরে না । একজন যদি বা পথ রোধ করে? হাকতে থাকে চরমে এসেচি, আর একজন অট্টহাস্তে সে বাধা চুরমার করে ՀՏ)