পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ) > অগস্ট ১৯৩১ ● \3 কল্যাণীয়াসু বৎসে, তোমার চিঠিখানি পেয়ে খুসি হলুম। চিঠি লিখতে পারেন না বলে তোমার মা যেন কিছুমাত্র উৎকণ্ঠ বোধ ন করেন । সাধনের পথ সম্বন্ধে আমি অনেক কথা ভেবেছি এবং নিজের মনে নিজের কৰ্ত্তব্য ঠিক করেচি। কিন্তু তোমার মা যে পথ আশ্রয় করে শাস্তি ও অানন্দ পান তার থেকে তাকে বিচলিত করার ইচ্ছা আমার মনেও হয় না । সত্যকে যে ভাবে স্বীকার করে নিয়েচেন সেটাতে র্তার স্বভাবের সম্মতি আছে ; তার থেকে স্থলনে তার অপরাধ আছে বলে আশঙ্কা করেন। অতএব সত্যকে সেই বিশেষ সীমার মধ্যেই তিনি গ্রহণ করুন, তার বাইরে আসতে গেলে হয় তো তার ক্ষতি হতে পারে। যে কোনো দিকেই মানবচিত্তের উৎকর্ষ, জ্ঞানে প্রেমে কৰ্ম্মে, সব দিকেই আমাদের মন্দিরের দ্বার ; সব দিক দিয়েই আমাদের অর্ঘ্য পেপছিয়ে দিতে হবে, নইলে আমাদের মানবাত্মার যিনি অধীশ্বর র্তাকে বঞ্চিত করা হবে— সুতরাং সেই সাধনার সঙ্কীর্ণতায় নিজেরাই তুর্গতিগ্রস্ত হব। জ্ঞানকে যদি খৰ্ব্ব করি, কৰ্ম্মকে যদি পঙ্গু করি, তবে একমাত্র ভক্তিকে বাড়িয়ে তুলে আমাদের পরিত্রাণ নেই এ কথা আমি নিশ্চিত জেনেচি, সুতরাং এ কথা আমাকে জানাতেও হবে— কিন্তু গুরু হয়ে উঠে কাউকে মানাতেই হবে এমন আমার স্বভাব নয়। এক এক সময়ে আমার মনে হয় যে আমি পুরুষ বলেই এই সমগ্ৰমানবচিত্তের 8 e &