পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে করি না । আপনাকে আমি কারার চেয়ে কম ভাবতে পারি না । তবে যে তর্ক করি, সেটা সত্যের সন্ধান পাবার জন্যে এবং আচারকে যে অঁাকড়ে আছি, সে কেবল পুর্ব প্রতিজ্ঞার জন্তে । আমার দুর্ভাগ্য যে, আমার পূর্ণ পুজ। আপনার চরণে দিতে পারছি না। আপনি কি আমার মন দেখতে পাচ্ছেন না দাদা ? এই আচার নিয়মের দরুন আমার ইচ্ছামত অনেক কাজই হয় না— আমি অলস, আমার এই আচারের জন্য আমার ইচ্ছামত থাওয়া দাওয়া হয় না। এইজন্যে আচার অাছে যে, হয়ত কোন না কোন দিন আমি আশ্রমে যেতে পারব । আশ্রমে আমার শ্ৰীগুরুদেবের স্মরণতীর্থে যেতে পারলে সেথানকার প{চজনের একজন বলে’ গণ্য হ’তে পারলে— শ্ৰীগুরুদেবের শেষ ইচ্ছা সার্থক হবে । তবে যে ওঁদের আজ্ঞা অমান্ত করে আপনার কাছে এসেছি, এটা ওঁদের মতে অপরাধ, এবং আমার মতে আমার প্রাণের টান । আমি এ অপরাধ মেনে নিলাম । আমি যদি আচার ত্যাগ না করি, তবে ওঁদের এ ক্রোধ চিরদিন থাকবে না— অন্ততঃ বাইরে থেকেও আমার পুজা নিবেদন করা চলবে। এইজন্য আচার করি। আপনার সঙ্গে তর্ক করি এই বলে যে, এগুলি সত্য ময় তা’ আপনি কি প্রমাণে সাব্যস্ত করলেন ? স্ত্রী আচার দেশাচার লোকাচারে গলদ আছে হয়ত । কিন্তু, স্মৃতির আচারের দোষগুণ বিচারসাপেক্ষ । আমি চাই, এর দোষগুণের সম্যক বিচার হোক। ভারতকে প্রকৃতিদেবী পৰ্ব্বত ও সমুদ্র দিয়ে অন্য দেশের থেকে পৃথক করেছেন । অন্যান্য দেশের বিশেষত্ব মরু, সাগর, পৰ্ব্বত, তুষার, খামলতা, এক ভারতে সবই আছে । ভারতের রীতি নীতি অন্য দেশের থেকে পৃথক । শাস্ত্র ও তাই । এক্ষেত্রে ভারত কেন তার স্বকীয় রীতি নীতি নিয়েই উন্নতির চেষ্টা করবে না, আমার এই অভিযোগ | যদি সে অশক্ত হয়ে থাকে, স্পষ্ট জবাব দিক, আমি এই চাই । তাই আপনার চিঠি আমি 8 bo