পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথের পত্রব্যবহার প্রসঙ্গে হেমন্তবালা দেবী ( ১৮৯৪-১৯৭৬ জুন ) এক স্থানে লিখিয়াছেন – ‘আমি যে ঘরে বাইরে দোষী হয়েও এ সব চিঠি লিখছি আর চিঠি আদায় করছি, নব্য ভারত এর থেকে তার পথ চিনে নেবে। আমার উপকার না হোক, আমার দেশের আর সকলে উপকৃত হতে পারবে । বস্তুত: শেষ জীবনে লেখা রবীন্দ্রনাথের পত্রধারার মধ্যে শ্ৰীমতী হেমন্তবালা দেবীকে লিখিত পত্রাবলী কেবল যে সংখ্যাগৌরবেই বিশিষ্ট এমন নয়, রবীন্দ্রনাথের ধর্মমত ও আত্মপরিচয়ের ব্যাখ্যানের দিক দিয়া ও একটি স্বতন্ত্র স্থান ও মর্যাদা অধিকার করিয়া আছে । ‘আমার যা শেষ কথা তা আমাকে বলে যেতেই হবে”— মতে স্বতন্ত্র কিন্তু শ্রদ্ধায় অনুগত পত্ৰলেখিকার সহিত বিতর্কে রবীন্দ্রনাথের সেই ‘শেষ কথা বিশেষ একটি দীপ্তি ও দৃঢ়তার সহিত ব্যক্ত হইয়াছিল। জানা যায়— ‘আচার বিচার’ নাম দিয়া রবীন্দ্রনাথের জীবিতকালেই ইহার অনেকগুলি পত্র গ্রন্থাকারে সংকলনের কথা হয়, সেজন্ত কবি-কর্তৃক সম্পাদিতও হইয়াছিল। শেষ পর্যন্ত গ্রন্থ প্রকাশিত হয় নাই, তবে প্রবাসীতে মুদ্রিত হইয়াছিল।’ শ্ৰীমতী হেমন্তবালা দেবী রবীন্দ্রনাথের সহিত র্তাহার পত্রব্যবহারের ও সাক্ষাৎ-পরিচয়ের যে বিবরণ, আমাদের নিকট প্রেরিত র্তাহার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন রচনায় লিথিয়া দিয়াছেন, তাহারই কিয়দংশ অত:পর মুদ্রিত হইল – 9りr)