পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয়লাভ ও পত্রবিনিময় আমি যখন কলিকাতায় পতিগৃহে তখন পারিবারিক ও অন্যবিধ অশাস্তিতে কাতর হয়ে সাহিত্যের আশ্রয় নিই। আমি বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করেছিলাম আমাদের পরিবারের মতের বিরুদ্ধে। এক সময়ে শ্ৰীবৃন্দাবনদর্শনে যাবার অনুমতি পাবার জন্য বহু চেষ্টা করেও অতুমতি পেলাম না । সেই উপলক্ষ্যে একটা দারুণ বিক্ষোভ ও অশান্তি চলছিল । বিক্ষুব্ধ মনকে শাস্ত করবার জন্য আমি অন্য পথ ধরলাম । রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগ, শেষের কবিতা ও সঞ্চয় পড়ি, তার কবিতা ও গান কিছু কিছু পড়া ছিল— অকস্মাৎ তার একটি নূতন পরিচয় আমার কাছে উদঘাটিত হয়, এবং আমার মানসিক অশাস্তির সময় আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় উদ্‌বেল হয়ে তাকে একখানি পোস্টকার্ড লিখি— ‘যোগাযোগের গ্রন্থকারকে অজস্ৰ নমস্কার’— নিজের নামঠিকানাহীন পত্র – তার পর তার আশীৰ্ব্বাদ প্রার্থনা করি, নিজের ছদ্মনাম ‘জোনাকি নামে, অন্য একটা ঠিকানা দিই। এ চিঠির উত্তরে তার আশীৰ্ব্বাদ পেয়ে খুশি হই । তার পর একটি কবিতা প্রার্থনা করি, এবং জানতে চাই, তিনি কার উদ্দেশে কবিতা লেখেন, ভগবান না মানুষ । উত্তরে কবিতাটিই পাই শুধু, কবিতাটির নাম নীহারিকা ও এর পর থেকে নানা প্রশ্ন করে করে চিঠি লিখতে থাকি এবং উত্তরও পাই । ‘আপনি এমন কবি ও ভাবুক হয়েও বৈষ্ণবধৰ্ম্মকে কেন সমর্থন করেন নি, এবং সাকার-উপাসনার বিরুদ্ধে বলেন কেন ? —এই একটি প্রশ্ন । কবিগুরুর সঙ্গে আমার প্রথম পত্রালাপের সময় আমার একটি উপনাম ‘জোনাকি ও আমার রাশিনাম ‘দক্ষবালা’ এই নাম দুটির অন্তরালে আমার পরিচয় প্রচ্ছন্ন ছিল । ইতিমধ্যে র্তার শরীর অসুস্থ হয়, আমার 8brs