পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং কাউকে শেখাতেও পারব না ;– আমি পৃথিবীতে সব জিনিষ যেমন করে নিয়েছি তেমনি করেই দিয়েছি অর্থাৎ নিতান্ত পড়ে-পাওয়া ভাবে-– তার যদি কিছু দাম থাকে সে দামের পাওনা আমার নয় । —রবীন্দ্রনাথ । অজিতকুমার চক্রবর্তীকে লিখিত পত্র বর্তমান গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট আলোচ্য পত্রগুলির সমকালীন, শ্রীশৈলেন্দ্রনাথ ঘোষকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের একখানি চিঠিতেও অনুরূপ ভাব ব্যক্ত হইয়াছে— ---আমার আশঙ্কা হয় পাছে আমাকে কেউ ভ্রমক্রমে গুরু ব’লে গ্রহণ করেন—- আমার সে পদ নয় । •••র কাছে অামি ষে সঙ্কোচ জানিয়েছিলুম তার কারণই এই । তুমি যে সাধনার কথা লিথেচ তামি তাকে শ্রদ্ধা করি । সেই সঙ্গে আমার একটি কথা বলবার আছে এই যে, অন্তরের সাধনার পরিণতি বাইরে— সঞ্চয়ের সার্থকতা দানে । একদিন আমি নিজের আত্মিক নির্জনতার মধ্যে আধ্যাত্মিক উপলব্ধির আনন্দকে সংহতভাবে লাভ করবার জন্যে সাধনায় প্রবৃত্ত ছিলুম। যে কারণেই হোক সেই নিঃসঙ্গতা থেকে আমি বেরিয়ে এসেছি। অতিশয় একান্তভাবে নিজের সত্তার নিগৃঢ় মুলে নিবিষ্ট হয়ে যাওয়া আমার চলল না, যে বিচিত্র সংসারে আমি এসেচি আপনাকে ভুলে সহজভাবে সেখানে আপনাকে লাভ করতে হবে এই দিকেই আমাকে ভিতর দিক থেকে ঠেলে পাঠালে। আমি স্বভাবতই সৰ্ব্বাস্তিবাদী— অর্থাৎ আমাকে ডাকে সকলে মিলে— আমি সমগ্রকেই মানি । গাছ যেমন আকাশের অণলো থেকে আরম্ভ ক’রে মাটির তলা পৰ্য্যন্ত সমস্ত কিছু থেকে ঋতু-পর্য্যায়ের বিচিত্র প্রেরণা দ্বারা রস ও তেজ গ্রহণ ক’রে তবেই সফল হয়ে ওঠে— আমি মনে করি আমারও ধৰ্ম্ম তেমনি— সমস্তের মধ্যে সহজে সঞ্চরণ ক’রে সমস্তের ভিতর থেকে আমার আত্মা সত্যের স্পশ লাভ ক’রে والا چ 8