পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তি করি। তাকে আমি আধুনিক কালের ব্যবসায়ী অবতারের দলে গণ্য করতে পারি এমন কথা তুমি কল্পনাও করবে এ আমার স্বপ্নের অতীত ছিল। এ কথা সকলেরই জানা আছে বাংলাদেশে অবতারের এপিডেমিক দেখা দিয়েছে তার কারণ সস্তায় মুক্তি পাবার জন্তে একদল লুব্ধ । এরা মোহুবিস্তার করে এই মুগ্ধ দেশকে আরো আবিষ্ট করছে একথা তুমিও স্বীকার করবে। দেশে মেকি কবিত্ব অনেক চলছে, তার কাটতিও আছে— তার উপরে যদি শ্লেষকটাক্ষপাত কেউ করে তবে কি আমি বলব এটা আমারি উপরে লক্ষ্য করা হোলো ? যাদের মহিমা উর্ধর্বলোকে বিরাজ করে তাদের ভক্তরা তাদের সম্বন্ধে যেন নিশ্চিন্ত থাকেন তার স্বতই নিরাপদ । অন্তত র্তারা আমার মতো লোকের অবজ্ঞার লক্ষ্য হতেই পারেন না একথা যদি না বোঝে। তবে তাতে আমার প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হবে, তাদের প্রতিও । ভালো জিনিষের কৃত্রিমতা সকলের চেয়ে হেয়— তাকে প্রশ্রয় দিলে বড়ো জিনিষেরই মূল্য কমানো হয় । —তীর্থঙ্কর ( ১৩৪৬ ) । ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২-এর পত্র পত্র ১১ । পৃ ২৯, শেষ অনুচ্ছেদে শ্ৰীমান্‌ শ্ৰীপতি বস্থকে স্বহস্তে লিখে’ পাঠানো যে কবিতার উল্লেখ, বহু বৎসর পরে ১৩৬৮ বঙ্গাব্দে ২৪ বৈশাখের আনন্দবাজার পত্রিকায় সেটির প্রতিচ্ছবি দেখা যাইবে / ১৩৭১ সনে বিশ্বভারতী-কর্তৃক প্রচারিত পচিশে বৈশাখের উৎসবপত্রীতেও ঐ লেখাস্কনের রূপ । এ কবিতা সম্পর্কে সকল তথ্যই পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথের বৈকালী’ গ্রন্থের ( আষাঢ় ১৩৮১) বিভিন্ন পৃষ্ঠায় ; যথা পৃ ৪২-৪৪, সংখ্যা ৩৯ / যে দীর্ঘ কবিতা প্রথম লিখিত ও প্রচারিত প্রবাসী পত্রের ২৫ বর্ষ-পুতির আশীর্বচন রূপে (প্রবাসী,বৈশাখ ১৩৩৩, পু ১-২ ) তাহারই লেখাঙ্কন রূপ । যৎসামান্ত পাঠভেদ ছাড়া একটি স্তবকের বিস্তাসে ( গ্রন্থে তৃতীয় আর প্রবাসীতে পঞ্চম ) 8ఏఏ