পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়ে বসে নূতন রান্নার ফরমাস করছেন কবি, দেখা গেছে অনেকবার। শুধু ফরমাস ক’রেই ক্ষান্ত হতেন না, নূতন মাল মসলা দিয়ে নুতন প্রণালীতে পত্নীকে নূতন রান্না শিখিয়ে কবি সখ মেটাতেন । শেষে তাকে রাগাবার জন্তে গৌরব ক'রে বলতেন, ‘দেখলে তোমাদের কাজ তোমাদেরই কেমন একটা শিখিয়ে দিলুম। তিনি চটে গিয়ে বলতেন, ‘তোমাদের সঙ্গে পারবে কে ? জিতেই আছ সকল বিষয়ে ' —শ্ৰীহেমলতা দেবী । সংসারী রবীন্দ্রনাথ। প্রবাসী, পৌষ ১৩৪৬ তদেব । দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে—এক টুকরো রূপকথা পাঠিয়েছ। সম্পূর্ণ করো না কেন ? যত পারো রূপকথা সংগ্রহ করে একখান বই যদি বের ক'রো খুব কাজে লাগবে । ফলে হেমন্তবালা দেবীর লেখ। কয়েকটি রূপকথা রবীন্দ্র-দপ্তরে তথা রবীন্দ্রভবন-সংগ্রহে সঞ্চিত হইয়া থাকিলেও, গ্রন্থ প্রকাশ ঘটে নাই কবির আয়ুষ্কালে । তাহার অন্তর্ধানের বহু বৎসর পরে ১৩৭২ কাত্তিকে হেমন্তবালা দেবীর সচিত্র নতুন রূপকথা আদ্যন্ত-ছাপা হওয়ার পরেও প্রকাশিত হয় নাই/কেননা, একেবারেই প্রচার হয় নাই, আমরা যতদূর জানি । সংকলিত সাতটি রূপকথার উৎকর্ষ যতই থাক, তাহার স্বরূপ পরিচয় জানেন নাই সুধীজন বা সর্বসাধারণ এক্ষেত্রে গ্রন্থকত্রীর গ্রহবৈগুণ্য ছাড়া আর কী কারণ থাকিতে পারে আমর। জানি না । আমাদের এ আক্ষেপ কিছুটা দূর হয় শমতী বাসন্তী বাগচী -প্রকাশিত ও প্রচারিত হেমন্তবালা দেবীর কিশোর-রূপকথা’য় ( ভাত্র ১৩৯৬ ) । 'নতুন রূপকথার দুয়েকটি কাহিনী কেবল এ বইয়ে পাওয়া যাইবে । সময়ান্তরে প্রকাশিত হেমন্তবালা দেবীর আর দুটি নিবন্ধ গ্রন্থের উল্লেখ থাক এখানে হ– অনন্ত চিন্তা ( ফাল্গুন ১৩৮১ ) ও হেমন্তবেলায় (আষাঢ় ১৩৮০)। ( o (* >\\2\o