পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘নাইট’পদবী-ত্যাগ-পত্র প্রেরণের পর রবীন্দ্রনাথের ধীরভাবে নিত্যনৈমিত্তিক সকল কর্তব্য করিবার বিবরণ আরও কেহ কেহ লিথিয়াছেন , অথচ ঐ পত্রের জন্য রাজরোষভাজন হইবার সম্ভাবনা সেদিন প্রভূতভাবেই ছিল – অ্যাওড় সাহেব লিখে গিয়েছেন– মনে রাখতে হবে যে, তখন ডিফেন্স অফ ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট বলবৎ ছিল । রবীন্দ্রনাথ জানতেন, যে তিনি র্তার এই চিঠির জন্য গ্রেপ্তার, সরাসরি-বিচার ও জেল-এর মুখোমুখি এসে দাড়িয়েছেন । ঠিক সেই সময়েই পাঞ্চাবে অনেকেই এর চেয়ে অনেক কম গবর্ণমেণ্ট-বিরোধী কাজের জন্য যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর ও সম্পত্তিবাজেয়াপ্ত শাস্তি পেয়েছেন । —শ্ৰী অমল হোম । পুরুষোত্তম রবীন্দ্রনাথ জালিয়ানওয়ালাবাগ ও রবীন্দ্রনাথ -প্রসঙ্গে বহু তথ্য ও বিবরণ শ্ৰীঅমল হোম -প্রণীত ‘পুরুষোত্তম রবীন্দ্রনাথ’ পুস্তকে গ্রথিত হইয়াছে। এই প্রসঙ্গে শ্ৰমৈত্রেয়ী দেবীর ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের উক্তিও দ্রষ্টব্য । ‘পুরুষোত্তম রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে ( ১৩৬৪ মুদ্রণ, পৃ ৭৬-৭৭ ) গান্ধীজি কেন তখন পঞ্চাবে আসিতে চাহেন নাই, সে সম্বন্ধে মহাত্মাজির সহিত গ্রন্থকারের আলোচনার নির্যাস এবং দীনবন্ধু অ্যাও জের বক্তব্যও মুদ্রিত । রবীন্দ্রনাথ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার প্রতিবাদে সভার আয়োজন করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, অ্যাণ্ড জ সাহেব ১৯২৭ সালে একটি প্রবন্ধে তাহা লিখিয়াছিলেন ; পুরুষোত্তম রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে ( পৃ ৭৬ ) ঐ প্রবন্ধের উল্লেখ আছে । ‘নাইট’-উপাধি ত্যাগ করিবার উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ রাজপ্রতিনিধি চেমসফোর্ড কে যে চিঠিখানি ইংরেজিতে লেখেন তাহাও এ স্থলে সংকলন-যোগ্য ; পরপৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য – & S a