পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আখ্যাই দাও • • ক্ষতি নাই কিন্তু আমি ওস্তাদ নই। আমার বাল্যবয়সে ও কৈশোরে আমাদের বাড়িতে দাদারা ওস্তাদি সংগীতের যথেষ্ট চর্চা করতেন । আমি তাদের গান ও যদু ভট্ট প্রভৃতি মহা গুণীগণের গান শোনবার যথেষ্ট স্বযোগ পেয়েছিলাম।--- মুগ্ধ হয়ে তাদের গান শুনতে যেভাম কিন্তু তারা যখন আমাকে রাগ-রাগিণী ও তাল বিধিবদ্ধভাবে শিখতে ডাকতেন তখনই পালিয়ে যেতাম ।’ ১৯৩৬ সালে শাস্তিনিকেতনের সংগীতভবনের জন্য একজন যন্ত্রসংগীত-শিক্ষক নির্বাচনের ভার আমার উপরে রবীন্দ্রনাথ হ্যস্ত করেছিলেন ।... আমার সংগীতগুরু-ঘরানার বড়দাদা আলাউদ্দীন খ৷ সাহেবের কথাই মনে পড়ল রবীন্দ্রনাথের অভিপ্রায় তাকে লেখার সঙ্গে সঙ্গে তিনি শান্তিনিকেতনে চলে গেলেন সাক্ষাৎভাবে শুরুদেবের সহিত আলাপের জন্তে ? -- আলাপের পর আলাউদ্দীন তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা আয়েৎ আলী খা'কে ( সেতার ও স্বরবাহার -বাদক ) শাস্তিনিকেতনে রাখার ব্যবস্থা করে এলেন• • • এই পরিস্থিতির পর আমি রবীন্দ্রনাথের চরণপ্রাস্তে একবার যাওয়ার মনস্থ করলাম ; তিনিও আমাকে ডেকে পাঠালেন সংগীতভবনের যন্ত্রসংগীতের বিধিব্যবস্থায় আলোচনার জন্ত - - - আমার শাস্তিনিকেতনে যাওয়ার অন্ত উদ্দেশ্যও ছিল । আমি আমার স্বরশৃঙ্গার যন্ত্রটি নিয়ে গিয়েছিলাম গুরুদেবকে আমার যন্ত্রালাপের অর্ঘ্য নিবেদন করতে. -- তা ছাড়া ওস্তাদী সংগীত সম্বন্ধে তার সঠিক মতামত জানার ইচ্ছাও আমার ছিল । পূর্বব্যবস্থা অনুযায়ী প্রাতঃকালে রবীন্দ্রনাথকে স্বরশৃঙ্গার বাজিয়ে শুনাবার সৌভাগ্য আমার ঘটল । স্বরশৃঙ্গারে ভৈরব ও আলাইয়া বিলাবল এই দুটি রাগ প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বাজিয়েছিলাম। আমি আমার সংগীতগুরু স্বৰ্গীয় মহম্মদ আলী খা রবাবীর--- শিক্ষা-অনুযায়ী ঐ দুই রাগের বন্দেজী আলাপ ও কিছু জোড়-ঝালা বাজিয়েছিলাম । G 8ર