পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানে মধুর ঠেকে নি। রামচন্দ্র প্রজারঞ্জন করতে গিয়ে সীতাকে বনবাস দিয়েছিলেন, প্রজারা জয় জয় করেছিল, সোনার সীতা দিয়ে তিনি ক্ষতিপূরণ করতে চেয়েছিলেন। দশের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে যদি সত্যকে নিৰ্ব্বাসন দিতে পারতুম, তাহলে সাস্বনার প্রয়োজনে সোনার অভাব ঘটত না । অামার চেয়ে ঢের বড়ো বড়ো লোকেরাও যে-কালে ও যে-সমাজে এসেছেন সেখানে র্তারা তিরস্কৃত হয়েচেন— নইলে বিধাতা তাদের পাঠাবেন কেন ? দশের ভিড়ে একাদশ দ্বাদশ সৰ্ব্বদাই আসে, কোম্পানির কাগজ জমিয়ে চলে যায় । মাঝে মাঝে আসে বিষম মুন্ধিলট, হিসাবী লোকের চট্ৰক ভাঙিয়ে দেবার জন্তে । প্রতিধ্বনির সম্প্রদায়, প্রথার প্রাচীর তুলে অচল দুর্গ বানিয়েচে, তাদের কণ্ঠে কণ্ঠে পুথির প্রতিধ্বনি এক দিগন্ত থেকে আর এক দিগন্তে হাজার হাজার বৎসর ধরে একটানা চলেইচে— মহাকালের শৃঙ্গধবনি মাঝে মাঝে জাগে সেই ফাক আওয়াজের শূন্তত ভরিয়ে দেবে বলে। পানাপুকুর স্তব্ধ হয়ে থাকে আপন পাড়ির বাধনে— হঠাৎ এক এক বছর বর্ষার প্লাবন আসে তার কুল ছাপিয়ে দিতে— সেটা দেখায় যেন বিরুদ্ধতার মতে, কিন্তু তাতেই রক্ষে । আমি গোড়া থেকেই একঘরের দলে ভিড়েছি, ঘরের কোণ-বিহারীদের মাঝখানে যারা বেগানা আমি সেই হাঘরেদের খাতায় নাম লিখিয়ে রাজপথে বেরিয়ে পড়লুম— ঘোরো যারা তারা মারতে আসবে, মারতে এসেই বেরোতে শিখবে। তুমি লিখেচ আমি পুরাতন ভারতের প্রতিকুল। রঘুনন্দনের ভারতটাই বুঝি পুরাতন ভারত ? দেবীদাসের কৌলীন্তই বুঝি 86t