পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র )\రిమ উড়িয়ে নিয়ে অকস্মাৎ আমাদের এই বাগানের উপর মস্ত একটা ঝড় এসে পড়ে— তার পরে, বড় বড় গাছগুলোর ঝুটি ধরে যে নাড়া দিতে থাকে সে এক আশ্চৰ্য্য দৃশ্য। ফলে পরিপূর্ণ আমগাছ তার সমস্ত ডালপালা নিয়ে ভূমিতে লুটিয়ে লুটিয়ে পড়ে— কেবল শালগাছগুলো বরাবর খাড়া দাড়িয়ে আগাগোড় থর থর করে র্কাপতে থাকে। মাঠের মাঝখানে আমাদের বাড়ি— সুতরাং চতুদিকের ঝড় এরি উপরে এসে পড়ে ঘুরপাক খেতে থাকে ; সেদিন ত একটা দরজা টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে আমাদের ঘরের মধ্যে এসে উপস্থিত— ফে কাণ্ডটা করলেন তার থেকে স্পষ্টই বোঝা গেল অরণ্যই এর উপযুক্ত স্থান— ভদ্রলোকের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করবার মত সহবৎ শিক্ষা হয় নি ; অবিশ্যি, কার্ড পাঠিয়ে ঢোকা প্রভৃতি নব্য রীতি এর কাছ থেকে প্রত্যাশা করাই যেতে পারেনা, কিন্তু ভিজে পায়ে ঢুকে গৃহস্থ ঘরের জিনিষপত্র সমস্ত লণ্ডভণ্ড করে দেওয়াই কি সনাতন প্রথা ? কিন্তু এরকম অশিষ্টাচরণ সত্ত্বেও লেগেছিল ভাল । বহুকাল এরকম রীতিমত ঝড় দেখিনি। এখানকার লাইব্রেরিতে একখান মেঘদূত আছে, ঝড়বৃষ্টিতুৰ্য্যোগে, রুদ্ধদ্বার গৃহ প্রান্তে তাকিয় আশ্রয় করে দীর্ঘ অপরাহ্লে সেইটি সুর করে করে পড়া গেছে— কেবল পড়া নয়— সেটার উপরে ইনিয়ে বিনিয়ে বর্ষার উপযোগী একট। কবিতা লিখেও ফেলেছি। মেঘদূত পড়ে কি মনে হচ্ছিল জান ? বইটা বিরহীদের জন্তেই লেখা বটে— কিন্তু এর মধ্যে আসলে বিরহের বিলাপ খুব অল্পই আছে– অথচ সমস্ত