পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ૨૨ઉ’ অর্থাৎ সবুজপত্রে কেবল ফুলের সূচনামাত্র করেন। তাতে ফলেরও আয়োজন আছে এইটে না প্রকাশ হলে জিনিসটা একটু সৈীখীন হয়ে দাড়াবে । শিক্ষাতত্ত্বটাকে নতুন করে আমাদের ভাবতে হবে । সেই ভাববার প্রধান বাধা এই যে, আমরা পুথিবীতে মনন ব্যাপারে যে solitary cellএর মধ্যে বন্দী আছি তার মধ্যে বসে আমাদের মনে হয় কেউ বুঝি কোথাও পুরোনো জিনিসকে নতুন করে ভাবচে না । সেইজন্যে অামাদের ভাবতেই ভয় হয়। নিজের দেশেব শাস্ত্র সৃষ্টির গোড়াতেই একেবারে চতুৰ্ম্মখের মগজে চিন্তিত হযে র্তার মুখ থেকে সম্পূর্ণ পরিণত হয়ে বেরিয়েচে বলে ঠিক করে বসে আছি— পরের দেশের শাস্ত্রকেও আমরা আচল ঠাটে বাধা অবস্থায় ধ্যান করি— ওটা আমাদের স্বভাব হয়ে গেচে । ওটা আমাদের মজ্জাগত মনের কুঁড়েমি । কিন্তু কুঁড়ে লোকের প্রধান শিক্ষা হচ্চে তাকে জানানো যে, পৃথিবীমৃদ্ধ সবাই কুঁড়ে নয়— মানুষের মন ছয় দিন স্থষ্টি করে সাতদিনের দিন তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে বলচে না যে, তোফা হয়েচে– স্বষ্টির মধ্যে আরো-ভালোর ডাক কোনোদিন থামেনি এবং কোনোদিন থামবেন । সবুজপত্রের সবুজত্বই এই নিয়ে । যে ডাকঘর দিয়ে এই পত্র আসচে সেই ডাকঘরে তুলট কাগজ চলেনা— সেখানে হলদের আমেজ দেখা দিলেই তাকে খসিয়ে দিয়ে সবুজ আপনার জয়পতাকা ওড়ায় । তাই সবুজের প্রেমিক আমার আবেদন এই যে, কাজের ক্ষেত্রে পৃথিবীতে যেখানে নূতন চিন্তা ও নূতন চেষ্টা দেখা দিয়েচে সেইখানকার বাৰ্ত্ত।