পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[이 \ē [শান্তিনিকেতন] কল্যাণীয়াসু কাশী থেকে ফিরে এসে শরীর সুস্থ নেই। বোধ হয় ইনফ্লুয়েঞ্জার খানিকট ছিন্ন অংশ এখনও শরীর থেকে বেরিয়ে পড়বার সুযোগ পাচ্চে না । ইনফ্লুয়েঞ্জা অনেকটা অভিমন্ত্র্যরই মত, ও প্রবেশ করতেই জানে প্রস্থান করতে নয়। যাই হোক যতটা পারি চুপচাপ করে শুয়ে শুয়ে কাটাচ্চি। কিন্তু তোদের আর্টিস্টের হাতে ধরা দিতে রাজি নই– ইনফ্লুয়েঞ্জাকে নেহাৎ ঠেকাতে পারিনি, আর সে অনুমতি না নিয়েই আক্রমণ করেছিল তাই আমার এই দুৰ্গতি, তাই বলে ইচ্ছা করে প্রতিদিন হু ঘণ্টা ধরে আর্টিস্টের সচল তুলির শাসনে নিশ্চল হয়ে থাকবার দুর্ভোগ কেন স্বীকার করব— রোজ দুঘণ্টা করে যদি আমাকে ম্যালেরিয়ার কাপুনি ধরত তাহলে ত আমাকে ডাক্তার ডাকতে হত— আর এর বেলাতেই কেন বিনা প্রতিকারের চেষ্টায় দুঃখ বহন করতে হবে ? যাই হোক, আজকাল ছবি নেবার উপযুক্ত স্বাস্থ্য, সৌন্দৰ্য্য, সময়, স্বাভাবিকতা একেবারেই নেই। প্রমথকে বলিস, প্রবন্ধ লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু flesh is weak. আশা করি তোরা সবাই ভাল আছিস । ইতি ২ বৈশাখ ১৩২৫ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর