পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ চিঠিপত্র করিয়ে রেখেছিস, এ বুদ্ধি সকলের মাথায় জোগাত না । অভেদ্য দাম্পত্যে দুইকে এক করে দিয়ে চিঠিতে তুই যে অৰ্দ্ধনারীশ্বরের অক্ষরমূর্তি প্রকাশ করেচিস আমি তার তারিফ করচি নে, কিন্তু ডাকটিকিটের হিসাবের খাতায় তুই যে চারকে দুই করে সেরেচিস এই দুদিনে সুগৃহিণীমাত্রেরই পক্ষে সেটা দৃষ্টান্তস্থল। “বিশ্ববীণারবে”র বিকৃতি সম্বন্ধে তোব আপত্তি সমর্থন করে তুই যে একটি অমোঘ যুক্তি সব শেষে নিক্ষেপ করেছিস সে একেবারে শক্তিশেলের মত এসে আমার মন্তব্যটাকে এ-ফেঁাড় ও-ফেঁাড় করেচে। মাসখানেক হল অামাব নিজের গান অন্য লোকের মুখে শুনে এসেচি ; মনের থেকে তার ব্যথা এখনো মবে নি, এমন সময়ে তুই যখন সেইখানেই দিলি খোচা তখন তাতে আমাকে অত্যন্ত তুৰ্ব্বল করে দিলে । মড়ার উপর খাড়ার ঘা দয়ালু লোকের খেলা, কিন্তু আহতের উপর অস্ত্রাঘাত সেটাই হল মারাত্মক । আসল কথা, একে অজ্ঞতা তার উপরে কুঁড়েমি। ও গানের স্বরটা ত জানিই নে— ( কোন গানেরই বা জানি— নিজেরই হোক পরেরই হোক ) তারপরে ব্যবহার করার যখন দরকার হল তখন গোজামিলন চালিয়ে দেওয়া গেল। ঐ গোজামিলন বিদ্যাটা কুঁড়ে লোকেরই বিদ্যা ; অবিদ্যার সঙ্গে ওর দহরম-মহরম যোগ । তারপরে যেটা একবার চলে গেছে সেইটেকেই ভালো বলে চালানো আমাদের দেশে চলিত । ওটা হচ্ছে অবিদ্যার অহঙ্কার। মনে আছে সক্রেটিস