পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q о চিঠিপত্র ধূপছায়ারঙের আঁচলে আমার মনটাকে ঘিরেছে। আবার আমি ফেলে দিয়েছি আমার বই, আমার কাজ। আবার আমার মন পলাতক । সমস্ত দিন কিছুই করিনে কেবল সামনে চেয়ে আছি— দেখি পূর্ণতা সেই শূন্যে। শিলাইদহে একটি বৈষ্ণব গানে শুনেছিলুম, স্যামের "নি-কড়িয়া-বাশির কথা, অর্থাৎ অকিঞ্চনের সঙ্গীত। তার দাম নেই, শুধু রস আছে । বালক বয়সে আমরা সত্যের সেই অকিঞ্চনতাকেই সহজে জানি— তখন খেলবার জন্তে সোনারূপোর দরকার হয় না । তখন জানি উপকরণটা লক্ষ্য নয়, খেলাটাই লক্ষ্য । খেলা যখন ভুলি তখনি খেলনার দাম নিয়ে মারামারি বেধে যায়। আজ বাইরে বসে খেলনার চেয়ে খেলার সার্থীকেই বেশি করে দেখতে পাচ্চি। তার মানে বালকট লোকান্তরগত হয়নি । ৬৫ বছর বয়সের গেটের কাছে যেখানে সানাইয়ে পূরবী বাজ চে সেখানে সেই অকিঞ্চনটা ধূলোয় বসে আছে—সে ভোলা তেমনি ভুলেই রইল তার বুদ্ধি পাকুল না ; যাকে প্রবণের মায়া বলে বর্জন করে সেই অনিত্যের খেলাঘরে সে কোন আশ্চৰ্য্যকে দেখতে পেল ? যা’কে দেখেছিল পূর্বদিগন্তে উষার প্রদোষ আলোয়, তাকেই দেখ ল পশ্চিম সিংহদ্বারে তারার প্রদীপ জ্বালাতে ব্যস্ত। যেতে যেতে বলে যেতে পারব, দেখেছি । তোরা থাকলে এবারকার জন্মোৎসবের রস পুর্ণ হত । শরীরের কথা আজ আমার ভাববার কোনো গরজ নেই— ছুটির সুধায় মন ভরে আছে। সেই ছুটির রসসম্ভোগে গায়ের