পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ¢ፃ করে থাকি এবারে আমাকে তার উদ্বেগে শান্তিনিকেতন থেকে এখানে খেদিয়ে এনেছে। প্রথম প্রথম আমার পীড়া কর্ণধরে যেরকম ঝি কে মারছিল এখন আর ততটা বেগ নেই কিন্তু চেপে ধরে আছে। কানে শুন্‌চি খুব কম, ডাক্তার বলচে ভিতরের প্রদাহট কমে গেলে আবার শুনতে পাব। তুই চিঠিতে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিস, যে ডাক্তারের কথা আমি কানে তুলি নে সে কথা সত্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু ডাক্তার অামার কানে কথা প্রয়োগ বন্ধ করে অন্ত রকম প্রয়োগবিধি সুরু করেছে— উপদেশের চেয়ে তাতে বেশি ফল পাওয়া যাবে বলে সকলে আশা করচে । অামার সেই তেতালার ঘরে আবদ্ধ হয়ে পড়ে আছি । মনটা উড় উড়, করে কিন্তু কানটা রয়েছে ডাক্তারের হাতে । কতদিনে যে খালাস করে নিতে পারব তার কোনো ঠিকানা নেই। বোলপুর থেকে মরিসকে আনিয়ে নিয়েছি— সে আমার চিঠিপত্র লিখে দেয়, ডাক্তার এলে তার সহকারিত করে, যথাসময়ে ভোজ্য প্রস্তুত হলে তৎ-সম্বন্ধে আমার কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেয়, অপরাহ্লে বায়ু সেবনের জন্যে মোটর-রথযাত্রা আমার পক্ষে উপাদেয় ব’লে দু’দিন থেকে কানের কাছে মুখ এনে উচ্চস্বরে পরামর্শ দিচ্চে— তার সেই হিতবাণী আমার চেয়ে স্পষ্ট করে শুনতে পাচ্চে ওবাড়ির থেকে গগনরা । এ রকম পীড়া হলে মন অন্য সমস্ত বিষয় থেকে নিরস্ত হয়ে ঐ একটি বিষয়েই একাগ্র হয়ে ওঠে। আমার চৈতন্য এখন কানময় হয়ে বিশ্বকে বিস্মৃত হয়েছে । যোগশাস্ত্রে