পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র >>Q হাওয়ার মেজাজ সম্প্রতি অত্যন্ত প্রতিকুল নয়। দোলের দিনে আমাদের বসন্ত উৎসব। ইতি রবিকাকা [৭১] ઉં [শাস্তিনিকেতন] কল্যাণীয়াসু কী হোলো বুঝতে পারা গেল না। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে গত কাল গেছে মঙ্গলবার। সকালে উঠে ভাবলুম প্রতিশ্রুত পত্র যখন আগমন সংবাদ অানল না তখন হয়তো টেলিগ্রাম আসতে পারে, বার্তাহীন নিঃশব্দতায় মঙ্গলবারের অবসান হোলো । যথানিয়মে আজ এল বুধবার— সকালে ডাক এল, অনাগমনের জন্তে কোনো কৈফিয়র্তী লিপি পাওয়া গেল না । আজ দোলপূর্ণিমা, ছাত্রছাত্রীর পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করে গেল। আজ শুক্ল সন্ধ্যায় বসন্ত উৎসব হবে, তারি মন্ত্রণা এবং আয়োজন চলচে । আমাদের অভিনয়ের দল কাল চলে যাবে রঙ্গশালার অভিমুখে, আমার পথ রোধ করেছে ডাক্তারের দল, যে কারণ দেখিয়ে সেটা সম্পূর্ণ আজগৰি । অজ্ঞতার অন্ধকার গর্ভ থেকে কাল্পনিক আশঙ্কার জন্ম, পুরাযুগে এই জন্তেই ডাইনি অপবাদ দিয়ে মানুষ হত্যাকাণ্ড করত— সেটা ছিল তখনকার ডাক্তারির একটা প্রথা, আমার পক্ষে এখনকার ডাক্তারির ডাইনী হচ্চে ছায়। নাট্যশাল। আসল কথা তারা কিছুই জানে না কি জন্তে আমার অকস্মাৎ এই ব্যাধির উপসর্গ— চিকিৎসা বিদ্যার মানরক্ষার জন্তে যা ভ।