পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S\రిe চিঠি পত্র কোন আবশুক ছিল না— কিন্তু উপমাটা নাকি এল সেইজন্তে সেটিকে নিঃশেষ করে চুকিয়ে দেওয়া গেল— অ প্রাসঙ্গিক হলেও “যে আপ সে আত উসকো আনে দেও ” তোমার সম্বন্ধে যা বলবার অলঙ্কার না দিয়ে ঠিক সেইটুকু বলতে গেলে আধখালি পাতও পোরে না ;– সংক্ষেপে— তোমার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা বেশ চলছিল ভাল হঠাৎ বন্ধ হয়ে একটু যেন বিপদে পড়েছিলুম। তোমার চিঠি পেয়ে আবার কলে জল এল । খানিকট যা তা’ বকাবকি করে বাচা যাবে। কিন্তু মুখোমুখি বসে আকার ইঙ্গিত এবং কণ্ঠস্বরযোগে অবিচ্ছিন্ন আলোচনার মধ্যে যে একটি উত্তাপ আছে চিঠিতে সেটি পাওয়া যায় না, সেই উত্তাপে দেখতে দেখতে মনের মধ্যে অনেক ভাবের অন্ধুর বেরিয়ে পড়ে ; অবিশুি, সেগুলো সব যে টিকে যায় তা নয়— অধিকাংশ দ্রুত প্রকাশের স্বভাবই হচ্চে দ্রুত বিনাশ । কিন্তু এতে মানসিক জীবনের ষে একটা চর্চা হয় সেটা ভারি আনন্দের এবং কাজেরও। অতএব দিনকতকের জন্তে যদি বোলপুরে আসতে পার তাহলে মাঝে মাঝে নানা কথা বলা কওয়ার অবসর ঘটতে পারবে। এখানে বই বহুবিধ আছে ; এখানকার একটা ছোটখাট লাইব্রেরি আছে, তা ছাড়া আমিও কিছু বই সঙ্গে এনেছি। এখেনে গদি দেওয়া চৌকি, নরম কোঁচ, চিৎ হয়ে শোবার এবং ঠেসান দিয়ে বসবার বিবিধ সরঞ্জাম আছে । অতএব এখেনে শারীরিক এবং মানসিক স্বাধীনতার কোনরকম ব্যাঘাত ঘটবেন । তুমি চুয়োডাঙ্গার যে রকম বর্ণনা