পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ه ما لا হালকা ফুরফুরে হয়ে আছে, যখন বসে বসে সাবানের বুদ্ধদের মত রঙীন চিঠিগুলো উড়োনো যায়। সমস্ত দিন পৃথিবীর মোটা মোটা মজুরির কাজ করে আঙুল এমন ভোতা হয়ে যায় যে কোনরকম সূক্ষ্ম শিল্পের কাজ নিতান্ত অবহেলাভরে করে উঠতে পারিনে— বেশ একটু সময় নিতে হয় । কবিতা লেখাটা নিতান্ত আমার আজন্মকালের নেশা— মাঝে মাঝে যখন মোতাতের সময় আসে তখন না লিখতে পারলে সমস্ত মনটা যেন বিকল হয়ে যায় এবং জীবনটা দুর্ভর বোধ হয় কিন্তু তাই লিখতে সময় পাইনে। মনে করি তাড়াতাড়ি অনেকগুলি কাজ একদমে চুকিয়ে ফেলে তার পরে বেশ আরামে নিশ্চিন্ত এবং নিরিবিলি অামার কবিতা নিয়ে পড়ব— কিন্তু প্রতিদিন এবং প্রতিমাস আপনার নতুন নতুন কাজ নিয়ে এসে হাজির হয়— কেউ নেই, যে আমাকে দয়া করে একটু সাহায্য করে— কাজেই হুহুঃ শব্দে সমস্ত কাজ সেরে যেতে হয়— বেশ একটু রসিয়ে রসিয়ে জিরিয়ে জিরিয়ে বেশ ধীরে ধীরে আস্বাদ করে যে সমস্ত কাজ করতে হয়— ঠিক কাজ নয়, মনের যে সমস্ত সখ মেটাবার ইচ্ছে হয় সে সমস্তই অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের জন্তে একপাশে ঠেলে রেখে দিতে হয়। কত কৰ্ত্তব্য কাজই হয়ে ওঠে না— আত্মীয়দের কত অভিমান সহ করতে হয় এবং নিজের মনের মধ্যেও প্রতিদিন কত অতৃপ্তি বহন করতে হয়। কিন্তু আমার জীবনের আইডিয়াল হচ্চে, যখন যে কৰ্ত্তব্যটা স্কন্ধে এসে পড়ে তাকে ফেলে না দিয়ে সহিষ্ণুভাবে বহন করা। যে অবস্থা-দ্বারা পরিবৃত হওয়৷