পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9»रे চিঠিপত্র তার পরেও যেটুকু অধিকমাত্রায় বেমোলায়েম ঠেকবে তার উপরে তুই এক দফা তোমার সম্পাদকী র্যাদা চালিয়ে দিয়ে । সোমবার প্রাতে আমি বোলপুর পৌঁছব । ইতি শনিবার স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “চঞ্চলা” নামক এক কবিতা মণিলালকে পাঠিয়েছি— যদি সেটা অচলা হয় তাহলে তাকে ঝেড়ে ফেলতে কিছুমাত্র দ্বিধা কোরো না । সুরেনকে ব্যাঙ্কের কথা মনে করিয়ে দিয়ে । [૭૭] & কল্যাণীয়েযু তোমার এবারকার ঘটে। লেখাই আমার খুব ভাল লাগল । অামার ভয় হয় পাছে সমালোচকদের ধাক্কায় তোমাকে বিচলিত করে। এতদিনে এটুকু তোমার বোঝা উচিত ছিল যে এদেশে সম্ভবত সাহিত্যরসজ্ঞ অনেক আছে কিন্তু তারা প্রায়ই কেউ “সাহিত্যিক” নয়— যেমন ময়রার মুখে সন্দেশ রোচে না তেমনি আমাদের সাহিত্যিকরা সাহিত্যের কারবার করে কিন্তু সাহিত্য ভালবাসে না— সে শক্তি তাদের নেই । আমি তাই ওদিকে একেবারেই কান দিইনে— কর্ণটা যদি ঢেউকে খাতির করে তাহলে ত নৌকাডুবি , সাহিত্যে তোমার প্রতিষ্ঠ। যতই দৃঢ় হতে থাকবে ততই তোমার উপর ধাক্কা বেশি পড়বে— যার মাঝারি মানুষ তাদের সুবিধা এই