পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

िि•त्व ২১৭ বা স্বার্থের যোগ নেই বলে মন মুক্ত থাকে- এইজস্তে ওদের সেবায় যদি পুরোপুরি লাগি তাহলে প্রৌঢ় ও বৃদ্ধবয়সের জীর্ণতার সমস্ত র্যাকগুলো ভরে যাবে অথচ ছাড়াও থাকুব । সব-শেষ দফার কথাটা কাউকে বলবার কথা নয় । মোটামুটি সে হচ্চে এই যে, জীবনটাকে ত ত্যাগ করতেই হবে- এ কথা কেউই অস্বীকার করতে পারেন । সেই ত্যাগটা যাতে নিছক লোকসান না হয় সে দিকে ভিতর থেকে বার বার তাগিদ অাসে । তাই এখন পাচ কাজে আর মন লাগেন । নিন্দ প্রশংসার উত্তেজনা এড়িয়ে চলতে পারলে তবেই লক্ষ্যট স্থির থাকে— নইলে মাতালের মত পী টলে টলে যায়। এই সব কারণেই, যে-জীবনটা এতদিন বহন করে এসেচি সেটাকে অার খাতির করতে পারিনে— তার বোঝা এইবার নামাব । তার মজুরি যা জুটেছে তা আমার যথেষ্ট হয়েচে, এখন সেইটেকে ট্যাকে নিয়ে অস্ত কারবারে নাববার ইচ্ছা । তোমার কাছে সমস্তটা খোলসা করেই বল্লুম। এ কথা বল। আমার তাৎপর্য্য নয় যে, লেখা আমি একেবারে ছেড়ে দেব । বল্পেও সেটা বাজে কথা হবে— কেননা কমলি নেই ছোড়তি হ্যয় । ওটা ম্যালেরিয়ার বিষ, কোনো নোটিস না দিয়ে হঠাৎ ক্ষণে ক্ষণে র্কাপন ধরাবে। কিন্তু সেটা তার নিজের অসাময়িক উত্তেজনায়, সাময়িক পত্রের বাধা মৌভাতের উত্তেজনায় নয় । এটুকু বলে রাখতে পারি — লেখবার কথাটা মনে রেখে দিলুম— এবং যখন লিখব তখন তোমাদের পেয়াদা, পাঠাতে হবেন । সুতরাং আমার Y &