পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র २२* উপলব্ধিটিই হচ্চে positive লাভ—কিন্তু তার স্বরূপটি কি এটার সম্বন্ধে পরিচয় পাকা হয় নি বলে নানা অদ্ভুত জল্পনার সৃষ্টি হচ্চে । সে জঞ্জালগুলো ক্রমেই পরিস্কার হয়ে আসবে কিন্তু একটি পরম গতি সম্মুখে আছে বলে মানুষ যাত্র করে বেরতে প্রস্তুত হয়েছে ;–তার একটা আশ্রয় ভেঙেচে বলেই সে একটি বৃহৎ আশায় উদ্দীপ্ত হয়ে সামনে আর এক পরম আশ্রয়ের দিকে উৎসুক হয়ে উঠেচে এইটেই হচ্চে বড় কথা । নিশ্চয়ই Wells যে কথাট তুলেচে সে ওর একলার কথা নয় – অনেকের মুখপাত্র হয়েই সে একটা ভাবকে রূপ দেবার চেষ্টা করচে । ওদের সেই মনস্তত্ত্বটাই আমাদের ভেবে দেখবার কথা । বস্তুত মানুষের ধৰ্ম্মের ইতিহাসে তার ধর্মের রূপটার চেয়ে ধৰ্ম্মসম্বন্ধে তার মনস্তত্ত্বটাই মূল্যবান এবং সেইটেতেই সত্যের পথ নির্দেশ করে । Vells-এর বই পড়লেও সেই পথটাকে Science-এর বহুদিনের আবর্জনার ভিতর দিয়ে আবার দেখতে পাই— তাতে এইটুকু দেখা যায় Science-র মধ্যেই মানুষ বদ্ধ হয়ে থাকতে পারে না, কোনমতে তার পোড়া কয়লা, ছাই এবং ভাঙা সরঞ্জামের ভিতর দিয়ে রাস্ত করে সে একটা বাইরের দিকে ছুটুতে চায়। মানুষের ইতিহাসের নানা বিভিন্ন অবস্থায় মানুষের এই যে একই চেষ্টা দেখতে পাই এইটেই কি ধৰ্ম্মসম্বন্ধে সব চেয়ে বড় কথা নয় ? জমিদারী ব্যবস্থা সম্বন্ধে যতই ভাবচি ততই আমার দৃঢ় বিশ্বাস হচ্চে, ওট। আকারণে top heavy হয়েচে— ছটো সদর