পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র S రిలి উপকার হয়েচে এই কথা যখন শুনতে পাই তখন সকল অভাবের দুঃখের উপর ঐ সুখটাই বড় হয়ে ওঠে। বিরাহিমপুরে প্রজাহিতের এই একটিমাত্র কার্য্যে সফল হয়েচি । লজ্জা এই যে হাসপাতালের চাদ। আদায় করে আজ পর্য্যস্ত তার একটি ইটও ভিতের উপর চড়েনি। আমাদের যা কিছু দেন হয়েচে তা যদি আমাদের জমিদারীর এই রকম কাজের জন্ত হত আমি এক মুহূৰ্ত্তের জন্য শোক করতুম না— কেননা এই ঋণ অন্যদিকে এমনভাবে সেণ্ট-পাসেন্ট সুদের উপরে শোধ হত যে হ্যাগুনোট লিখে আনন্দ করতুম । আমার ত সবচেয়ে দুঃখ হয় এই জন্যে যে, প্রজাদের জন্তে লোকসান করবার পূর্ণ অধিকার আমার হাতে নেই তাহলে আমি শান্তিনিকেতন ছেড়ে ওদের মধ্যে গিয়ে বসতুম— মনের সাধে বিষয় নষ্ট করতে করতে সুখে মরতুম। তাই অর্থ নষ্ট করবার যে সুবিধাটুকু এই জায়গায় তৈরি করতে পেরেচি তাই নিয়ে অস্তিমকাল পর্য্যন্ত কেটে যাবে— তার পরে যারা বিষয় ভোগ করচে তারা তার দায়ও ভোগ করবে, তাতে এই বিশ্বজগতের কি আসে যায়, আর, অামারি বা কি মাথাব্যথা । ইতি ১৯ কাৰ্ত্তিক ১৩২৪ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই cuttingsশুলো সুরেনকে পাঠিয়ে দিয়ে । 〉ぐ。