পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র २8१ “এই যে প্রাণ সৰ্ব্বভূতস্থ হইয় প্রকাশ পাইতেছে ইহাই জানিয়া জ্ঞানী অতিবাদী হন না।” এখানে অতিবাদী বলতে নিশ্চয়ই বোঝাচ্চে, সত্যকে অতিক্রম করে’ যে কথা কয় । তুমি কি অন্ত অর্থে অতিবাদী দেখেচ ? আমি মাঝে মাদ্রাজ অভিমুখে যাত্রা করেছিলুম— ভুলে গিয়েছিলুম ভ্রমণ এবং অভ্যর্থনা আমার সয় না । দেখলুম দক্ষিণাপথে দুটোই খুব প্রবল এবং প্রচুর । আজ সাতাল্প বছর বাংলা দেশে বাস করে গালিগালাজ অবমাননায় এমনি মেীতাত জমে গেছে যে অতিশয় সম্মান সহ্য করবার মত অভ্যাস চলে গিয়েচে । তাই পিঠাপুরম পৰ্য্যস্ত গিয়েই আর পুরোবৰ্ত্তী না হয়ে পিঠের দিকেই ফেরা গেল। ইতিমধ্যে খবর পেয়েছিলুম মীরা আর তার ছেলে নিজামের হায়দ্রাবাদে সঙ্কটাপন্নভাবে পীড়িত । “শান্তি” বলে তার ছোট দেবর এই ব্যামোতেই সেখানে মারা গেছে । আমি মনে ভাবলুম আমার যে রকম ছদিন উপস্থিত হয়েচে তাতে এই আঘাতটা বোধ হয় কাটুবে না । টেলিগ্রামের গতিকও ভাল ঠেকছিলনা । ওখানে ডাক্তার ল্যাঙ্কেষ্টর আছেন, মীরাদের দেখবার জন্তে আমি তাকে টেলিগ্রাম করে দিলুম। তিনি এবং ডাক্তার নাইডুতে মিলে একরকম করে বিপদ থেকে উদ্ধার করে এনেচেন । কাল খবর পেয়েছি ডাক্তার বলেচে এখন আর কোনো ভাবনার কারণ নেই। এই সব নানা ছোট বড় আঘাতে ব্যাঘাতে আমার মন এখন আর কিছু লিখতে উৎসাহ পায় না। তাই ফের আর একবার ইস্কুল মাস্টারিতে