পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ३¢ €) সেই তেজ তোমাদের ফলে ফলে সঞ্চারিত ও সঞ্চিত হয়ে দেশের প্রাণভাণ্ডারকে পুনঃ পুনঃ পূর্ণ করবে। কিন্তু একটা কথা তোমরা ভুলে গেছ, ইতিমধ্যে আমার পদোন্নতি হয়েচে । ছিলেম যুবকমহারাজের দ্বারের প্রহরী এখন শিশুমহারাজের সভায় সখার পদ পেয়েচি । অর্থাৎ নবজন্মের সীমানার কাছাকাছি এসে পৌঁচেছি— মৃত্যুর পূর্বে এই চৌকাঠটি পেরোনোই বাকি আছে। এই যে এগোবার দিকে চলেচি এখন আমাকে পিছুডাক ডেকো না । বিধাত। আমাকে বর দিয়েচেন আমি বুড়ো হয়ে মরব না । সেইজন্তে যৌবনমধ্যাহ্ন পেরিয়ে আমার আয়ু চিরশু্যামল শিশুদিগন্তের দিকে নেমেচে । আমার জীবনের শেষকাজ এবং শেষ আনন্দ ঐখানেই রেখে যাবার জন্যে আমার ডাক পড়েচে । যৌবনের জয়যাত্রায় আমার জীবনের অধিকাংশ কালই আমি আঘাত অপমান নিন্দার কাছে হার মানিনি, আমি অশাস্তির অভিঘাতের ভয়ে পিঠ ফিরিয়ে পালিয়ে যাইনি। কিন্তু এখন দিনশেষে আমার মনিবের হাত থেকে পুরস্কার নেবার সময় হয়েচে । আমার মনিব এসেচেন শিশু হয়ে, পুরস্কারও পাচ্চি। র্তার কাজে শাস্তি অল্প, শাস্তি যথেষ্ট, কিন্তু ছুটি একটুও নেই। সেইজন্তে এখান থেকে আমি তোমাদের জয় কামনা করি, কিন্তু তোমাদের তালে তালে পা ফেলে তোমাদের অভিযানে চলব এখন আমার আর সে অবকাশ নেই। আগামী কালে যার যুবক হবে আমি এখন তাদের সঙ্গ নিয়েচি । তাদের সেই ভাবী যৌবন নিৰ্ম্মল হবে, নির্ভয়