পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● চিঠিপত্র আলোর বুদ্ধ, নক্ষত্রের মতই। স্বষ্টিকৰ্ত্তার খেলনাগুলির সঙ্গে তাদের রঙের মিল আছে । সেইজন্তেই যখন তারা গড়ে উঠতে থাকে তখন কৰ্ত্তব্য ভুলে যাই । অথচ দেশের কৰ্ত্তব্যক্তিদের কাছ থেকে হুকুম আসচে যে, “সময় খারাপ অতএব, বাশি রাখ, লাঠি ধর ।” যদি তা করি তাহলে কৰ্ত্তারা খুসি হবেন, কিন্তু আমার এক বাশিওয়াল মিত। আছেন কৰ্ত্তাদের অনেক উপরে, তিনি আমাকে একেবারে বরখাস্ত করে দেবেন । কৰ্ত্তারা বলেন, “তিনি আবার কে ? একত অাছে বন্দেমাতরং ” তাদের গড় করে আমাকে অাজ বলতে হচ্চে— “আমার বন্দেমাতরং ভুলিয়েচেন ঐ তিনি। আমি দেশছাড়া ঘরছাড়ার দলে । আমি ভূগোলের প্রতিমার পাণ্ডাদের যদি আজ মানতে বসি তাহলে আমার জাত যাবে।” কিন্তু তুৰ্ভাগ্যক্রমে ভূগোলের প্রতিমার পাণ্ডার শুধু পাণ্ড নয় তারা গুণ্ডা— অতএব মার খেতে হবে। তাই সই । মার মুরু হয়েচে । “মরার বাড়া গাল নেই" আমাদের ভাষায় বলে, সে কথা মিথ্যে। মরাটা গাল নয় মরার ভয় করাটাই গাল । মরার ভয়ে চাদ সদাগর শিবকে ছেড়ে সাপের দেবতার কাছে হার মেনেছিল, সেইখানে তার গাল রয়ে গেল । আমি কিন্তু শিবকে ছাড়ব না। আমার শিব সকল জগতের— কিন্তু সাপের দেবতার জায়গা হচ্চে গৰ্ত্তর ভিতরে। সেই গৰ্ত্তর মুখে ভূধকল জোগাবার বায়ন যার নিয়েচেন তার যে-ফলের লোভ করেন আমি সেই ফলকে বড় মনে করিনে। আমার মন ম্যাপের গৰ্ত্তর মধ্যে আর