পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ চিঠিপত্র মেয়েরা সেদিন গানের সভায় সেজে এসেছিল তারা এই অগ্নিকাণ্ডে আহুতি দিয়েচে । আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে,•••নিজে চরকা কাটে না— সে মনে করে তার পক্ষে ওটা জরুরি নয় । চরকা যদি নাও কাটে তাহলে অন্তত ওর উচিত প্রতিদিন চরকা কেটে যে আয় হয় তাতেই জীবিকানিৰ্ব্বাহ করে তার বেশি সমস্তই দেশকে দান করা । আমি আমার একটা কৰ্ত্তব্য স্থির করে বসেচি— অন্তত তার জন্তে আমি নিজের লোকসান করতে ছাড়িনি— শুধুই যদি বাক্যব্যয় করতুম তাহলে জীবনের হিসাবের খাতায় জমাখরচের কোন কোঠায় সেটা কি রকম অঙ্কপাত করত ? যারা বাংলা দেশের জমিদার র্তারা যতক্ষণ সদর খাজনা জুগিয়ে নিজের জীবিকা ও আরামের সংস্থান করতে চান ততক্ষণ অন্তলোককে ত্যাগস্বীকার করতে বলতেই পারেন না। অামি আমার এক চিঠিতে বড়দাদাকে এই কথাটা স্মরণ করিয়েছিলেম। বাংলাদেশে জমিদারদের চেয়ে গবর্মেন্টের বড় কৰ্ম্মচারী আর কে আছে ? বিবিকে বোলো সার্কিসের হাঙ্গামায় আমি জড়িত হতে চাইনে। সে নিজে যা ভাল বোঝে তাই যেন করে । আমি ইংরেজি সঙ্গীত ভাল বুঝিও নে, বোঝবার চেষ্টা করার মত छेञ्चभ ७कहैe cनहे- ङांद्र छे°zब्र विश्वछांब्रडौञ्च इ:नाथा সাধনায় অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত হয়ে আছি । কলকাতায় যদি যাই মোকাবিলায় কথা হবে। ইতি ১৮ কাৰ্ত্তিক ১৩২৮ ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর