পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ૨છે উঠেছিল সেইটিকে আর একবার অার এক ভাষার ভিতর দিয়ে মনের মধ্যে উদ্ভাবিত করে নেবার জন্তে কেমন একটা তাগিদ এল। একটি ছোট্ট খাত ভরে এল। এইটি পকেটে করে নিয়ে জাহাজে চড়লুম। পকেটে করে নেবার মানে হচ্চে এই যে, ভাবলুম সমুদ্রের মধ্যে মনটি যখন উস্থুস করে উঠবে তখন ডেক চেয়ারে হেলান দিয়ে আবার একটি ছটি করে তর্জমা করতে বসব। ঘটুলও তাই। এক খাতা ছাপিয়ে আর এক খাতায় পেছন গেল। রোটেনস্টাইন আমার কবিযশের আভাস পূর্বেই আর একজন ভারতবর্ষীয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন । তিনি যখন কথা প্রসঙ্গে অামার কবিতার নমুনা পাবার ইচ্ছ। প্রকাশ করলেন, আমি কুষ্ঠিতমনে র্তার হাতে আমার খাতাটি সমর্পণ করলুম। তিনি যে অভিমত প্রকাশ করলেন সেটা আমি বিশ্বাস করতে পারলুম না । তখন তিনি কবি য়েটুসের কাছে আমার খাতা পাঠিয়ে দিলেন — তারপরে কি হল সে ইতিহাস তোদের জানা আছে । আমার কৈফিয়ৎ থেকে এটুকু বুঝতে পারবি আমার কোনো অপরাধ ছিল না— অনেকটা ঘটনাচক্রে হয়ে পড়েছে। তার পরে যখন আমেরিকায় গেলুম, ভাবলুম কিছুদিন চুপচাপ করে বিশ্রাম করব । কিন্তু চুপ করে থাকবার জায়গা আমেরিক নয়। ও দেশ মূকং করোতি বাচালং– বিদেশ থেকে যে কেউ গেলেই আমেরিকা তার কাছ থেকে বক্তৃত৷ দাবী করে বসে। আমি আৰ্ব্বান৷ সহরে একটু গুছিয়ে বসবামাত্রই বক্তৃতার জন্তে তাগিদ আসতে লাগল। আমি বহুষ