পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ૨૯ হবে না। বীণাপাণিকে প্রমথ খড়গপাণি মূৰ্ত্তিতে সাজাবার আয়োজন করেছেন । ভাষায় ছন্দে ও ভাবের সংযমে এবং নৈপুণ্যে আশ্চৰ্য্য শক্তি প্রকাশ পেয়েছে। নদিদি আমাকে তার 'ফুলের মালার তজ্জমাট পাঠিয়েছিলেন। এখানকার সাহিত্যের বাজার যদি দেখতেন তাহলে বুঝতে পারতেন এ সব জিনিষ এখানে কেন কোনোমতেই চলতে পারে না । এরা যাকে reality বলে সে জিনিষটা থাকা চাই । এই জিনিষের সঙ্গে আমাদের কারবার অভ্যস্ত কম— সেইজন্যে এটা আমরা চিনিও নে এবং এর অভাবটা কি তা আমরা বুঝিও নে । আমার পক্ষে মুস্কিল এই যে আমি এ সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে লোকে ভুল বুঝবে কেননা আমার রচনাগুলোকে এরা গ্রহণ করেছে। যদি জিজ্ঞাস। করিস কেন করেছে তবে তার উত্তর এই যে, এই কবিতাগুলি আমি লিখব বলে লিখিনি— এ আমার জীবনের ভিতরের জিনিষ– এ আমার সত্যকার আত্মনিবেদন— এর মধ্যে আমার জীবনের সমস্ত মুখদুঃখ সমস্ত সাধনা বিগলিত হয়ে আপনি আকার ধারণ করেছে। এই জীবনের জিনিষ জীবনের ক্ষেত্রে অাদর পায় একথা আমি বেশ বুঝতে পেরেছি কিন্তু একথা বোঝানো শক্ত । কেননা নিজের ফঁাকি মানুষ নিজে দেখতে পায় না –কেনন ফাকি জিনিষটাতে পরিশ্রম বেশি, চেষ্টা বেশি এবং তার প্রতি মামুষের মমতাও বোধ হয় বেশি হয়ে থাকে । আমাদের দেশের কোনো একজন লেখক তার কোনো বই তর্জমা করে