পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[e] 3 পোস্টমার্ক निश्छे झेब्ररी# २२ ডিসেম্বর, Ꮌ> & e কল্যাণীয়াসু অনেক সমুদ্র পেরিয়ে তোর বিজয়ার প্রণাম এসে পৌচেছে। তোর পঞ্জিকার বিজয়া আমার পঞ্জিকার পৌষ মাসে এসে পড়েচে । বুঝতে পারটি কত দূরেই আছি। এক দেশে থেকেও হয় ত ন’মাসে ছ'মাসে দেখা হয় না, কিন্তু ইচ্ছে করলেই দেখা হতে পারে এইটেই দেখা সাক্ষাতের প্রধান অঙ্গ। এখান থেকে দেশে যাব এই কথা কটির পেটের মধ্যে কত জাহাজ, কত রেলপথ কত বাক্সতোরঙ্গের বোঝা, কত পাসপোর্ট আপিসে ঘোরাঘুরি। মনে করলে প্রাণ হাপিয়ে ওঠে। এদেশে আমার এক মুহূৰ্ত্তও থাকতে ইচ্ছে করে না, তবুও ত আছি— মাসের পর মাস চলে যাচ্চে । যে ইচ্ছা আমাকে এখানে বেঁধে রেখেচে সে ইচ্ছায় কিছুমাত্র মুখ নেই অথচ তারই জয় চলচে, অন্ত ইচ্ছার চেয়ে এই ইচ্ছ। পালন করা ঢের বেশি কঠিন অথচ এই ইচ্ছাই পালন করচি । তবু মানুষকে বলে বুদ্ধিমান জীব । মান সম্মান অনেক পাওয়া গেছে, কিন্তু আর ভাল লাগচে না। ফিরতে ইচ্ছে করে খ্যাতিহীন শাস্তির মধ্যে— সেই অতি শস্ত জিনিষ যা কাউকে দাম দিয়ে কিনতে হয় না, কিন্তু যা আমার মত হতভাগ্যের পক্ষে জগতে সব চেয়ে স্থলভ । আজ সাতই পৌষ । সকাল থেকে আমার মন এই প্রার্থনা করচে অসতোমা সদগময়। রবিকাকা