পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিলেন। আমার মনে হয় যশোরের মেয়েরাই সাধারণভাবে এই গুণগুলির অধিকারিণী ছিলেন । বিশেষত, রাধাবাড়া সম্বন্ধে কাকিমার খুব শখ ছিল । তার কনিষ্ঠা কন্যা মীরাতেও তা সংক্রামিত হয়েছে । শুনেছি, শান্তিনিকেতনে থাকার সময় আশ্রমের ছেলেদের জন্ত আগুন-তাতে রেধে রেধেই কাকিমার শেষ অসুখের সূত্রপাত হয় । আর শুনেছি রবিকা’র জমিদারি পরিদর্শনের জন্য শিলাইদহের কুঠিতে থাকা কালে নাটোরের মহারাজা প্রভূতি যখন তাদের অতিথি হতেন তখন আর কোনোরকম মিষ্টান্ন না পেয়ে কাকিম। এমন সুন্দর গাজরের হালুয়া তৈরি করতেন যে তাতেই তারা পরিতুষ্ট হয়ে যেতেন । ‘রবীন্দ্রম্মুতি, ১৩৮১, পৃ. ৫৪-৫৬ ৪. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবিকাকার বিয়ে আর হয় না ; সবাই বলেন ‘বিয়ে করে – বিয়ে করে। এবারে’, রবিকাকা রাজী হন না, চুপ করে ঘাড় হেঁট করে থাকেন । শেষে র্তাকে তো সবাই মিলে বুঝিয়ে রাজী করালেন । রথীর মা যশোরের মেয়ে । তোমরা জানো ওঁর নাম মৃণালিনী, তা বিয়ের পরে দেওয়া নাম । আগের নাম কী একটা সুন্দরী না তারিণী দিয়ে ছিল, মা তাই বলে ডাকতেন । সেকেলে বেশ নামটি ছিল, কেন যে বদল হল । খুব সম্ভব, যতদূর এখন বুঝি, রবিকাকার নামের সঙ্গে মিলিয়ে মৃণালিনী নাম রাখা হয়েছিল । গায়েহলুদ হয়ে গেল। আইবুড়োভাত হবে । তখনকার দিনে ও বাড়ির কোনো ছেলের গায়েহলুদ হয়ে গেলেই এ বাড়িতে তাকে নেমন্তম করে প্রথম আইবুড়োভাত খাওয়ানো হত। তার পর এ-বাড়ি ও-বাড়ি চলত কয়দিন ধরে আইবুড়োভাতের নেমন্তম । মা গায়েহলুদের পরে রবিকাকাকে >Wつやり