পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১০

[সাহাজাদপুর। ২৬ জুন ১৮৯২]

ওঁ

ভাই ছুটি—

 এখানে কাল থেকে কেমন একটু ঝোড়ো রকমের হয়ে আস্‌চে— এলোমেলো বাতাস বচ্চে, থেকে থেকে বৃষ্টি পড়চে, খুব মেঘ করে রয়েচে। গণৎকার যে বলেচে ২৭ জুন অর্থাৎ কাল একটা প্রলয় ঝড় হবার কথা, সেটা মনে একটু একটু বিশ্বাস হচ্চে। আমার ইচ্ছে করচে কালকের দিনটা তোমরা তেতালা থেকে নেবে এসে দোতলায় হলের ঘরে যাপন কর— কিন্তু আমার এ চিঠিটা তোমরা পর্শু পাবে— যদি সত্যিই কাল ঝড় হয় আমার এ পরামর্শ কোন কাজে লাগবে না। তেমন ঝড়ের উপক্রম দেখলে তোমরা কি আপনিই বুদ্ধি করে নীচে আস্‌বে না? যা হোক্, দৈবের উপর নির্ভর করে থাকা যাক্। তোমার কালকের একটা চিঠি পেয়ে আমার মন একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমরা যদি সকল অবস্থাতেই দৃঢ় বলের সঙ্গে সরল পথে সত্য পথে চলি তা হলে অন্যের অসাধু ব্যবহারে মনের অশান্তি হবার কোন দরকার নেই— বোধ হয় একটু চেষ্টা করলেই মনটাকে তেমন করে তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এক্‌লা বসে বসে সঙ্কল্প করেছি আমি সেই রকম চেষ্টা করব— অবিচলিত ভাবে আপনার কর্ত্তব্য করে যাব— তার পরে যে যা বলে যে যা করে কিছুতেই তিলমাত্র ক্ষুণ্ন হব না— কতদূর কৃতকার্য্য হতে পারব জানিনে। প্রতিদিন নিরলস

১৭