চাও ত বলি— মাইনে টাকা আষ্টেক। আমার ত বোধ হয় এ-রকম দাসী হলে তোমার মন্দ হয় না। আমরা এবার বোটে গিয়ে থাক্ব— সেখানে চাকরের অভাব তুমি তেমন অনুভব করবে না— তপ্সি থাক্বে, অন্যান্য মাঝিও থাক্বে, তোমার ফটিক থাকবে পুঁটে থাক্বে, বিপিন থাক্বে, মেথর থাক্বে — অনায়াসে চলে যাবে— ল্যাম্পের ল্যাঠা নেই, জল তোলার হাঙ্গাম নেই, ঘর ঝাঁড় দেওয়ার ব্যাপার নেই কেবল খাবে স্নান করবে, বেড়াবে এবং ঘুমবে। কালও রাত দুপুরের সময় এসেছি— সমস্ত দিন উৎপাত গেছে। আজ সকাল বেলায় এক চোট সাক্ষাৎকারীদের সমাগম এবং গানশিক্ষার হাঙ্গাম শেষ করে আহারটি করেই তোমাকে লিখতে বসেছি— এখনি সঙ্গীতসমাজওয়ালারা তাদের রিহার্সালের জন্যে আমাকে ধরতে আসবে— সেখানে ৪টে পর্যন্ত চেঁচামেচি করে সুরেন[কে] দেখ্তে বালিগঞ্জে যাব— সেখান থেকে সরলাকে তুলে নিয়ে এসে গান শেখানর ব্যাপারে রাত নটা বেজে যাবে— তার পরে সঙ্গীতসমাজে আবার রিহার্সালে রাত দুপুর হয়ে যাবে।— চৈতন্য ভাগবত এনেছি— বিপিন একখানা মলিদা ও একটা রাগ্ এনেছে দেখেছি— মলিদা আনবার কি দরকার ছিল আমি কিছুই বুঝতে পারলুম না। নানা ব্যস্ততার মাঝখানে অল্প একটুখানি অবকাশে তোমাকে তাড়াতাড়ি করে লিখে ফেলতে হয় ভাল করে মন দিয়ে লিখতে পারিনে।
৪৭