সকাল সকাল খেয়ে শুয়ে পড়লুম। দোতলার পশ্চিমের ঘরে আমি এবং পূর্ব্বের ঘরে রথী শুয়েছিল। রাত্রি রীতিমত ঠাণ্ডা— গায়ে মলিদা দিতে হয়েছিল। দিনেও যথেষ্ট ঠাণ্ডা। কাল বাজনাবাদ্য উপাসনা ইত্যাদি করে পুণ্যাহ হয়ে গেল। সন্ধ্যাবেলায় কাছারিতে একদল কীর্ত্তনওয়ালা এসেছিল। তাদের কীর্ত্তন শুন্তে রাত এগারোটা হয়ে গেল।
তোমার শাকের ক্ষেত ভরে গেছে। কিন্তু ডাঁটা গাছগুলো বড্ড বেশি ঘন ঘন হওয়াতে বাড়তে পারচেনা। চালানের সঙ্গে তোমার শাক কিছু পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। কুম্ড়ো অনেকগুলো পেড়ে রাখা হয়েছে। নীতু যে গোলাপ গাছ পাঠিয়েছিল সেগুলো ফুলে ভরে গেছে কিন্তু অধিকাংশই কাঠগোলাপ— তাকে ভয়ানক ফাঁকি দিয়েছে। রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, মালতী, ঝুম্কো, মেদি খুব ফুচে। হাসু-ও-হানা ফুট্চে কিন্তু গন্ধ দিচ্চেনা, বোধ হয় বর্ষাকালে ফুলের গন্ধ থাকেনা।
দুটো চাবি পেয়েছি— কিন্তু আমার কর্পূর কাঠের দেরাজের চাবিটা দরকার। তার মধ্যে রথীর ঠিকুজি আছে সেইটের সঙ্গে মিলিয়ে রথীর কুষ্ঠি পরীক্ষা করতে দিতে হবে। সেটা চিঠি পেয়েই পাঠিয়ো।
নীতু কেমন আছে লিখো। প্রতাপবাবু রোজ দেখতে আস্চেন ত? যাতে ওষুধ নিয়মিত খাওয়া হয় দেখো।
পুকুর জলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। সামূনে আখের ক্ষেত খুব বেড়ে উঠেছে। চতুর্দ্দিকের মাঠ শেষ পর্য্যন্ত শস্যে
৫০