পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড ১৯৪২)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র نیا\ আমাদের জাহাজটা এখন ডান দিকে গ্রীস আর বা দিকে একটা দ্বীপের মাঝখান দিয়ে চলেছে। দ্বীপটা খুব কাছে দেখাচ্চে– কতকগুলো পাহাড়, তার মাঝে মাঝে বাড়ি, এফ জায়গায় খুব একটা মস্ত সহর— দূরবীন দিয়ে তার বাড়িগুলো বেশ স্পষ্ট দেখতে পেলুম— সমুদ্রের ঠিক ধারেই নীল পাহাড়ের কোলের মধ্যে শাদ সহরটি বেশ দেখাচ্চে । তোমার দেখতে ইচ্ছে করচেনা ছুটুকি ? তোমাকেও একদিন এই পথ দিয়ে আসতে হবে তা জান ? তা মনে করে তোমার খুসি হয় না ? যা কখনো স্বপ্নেও মনে কর নি সেই সমস্ত দেখতে পাবে। দুদিন থেকে বেশ একটু ঠাণ্ডা পড়ে আসচে– খুব বেশি নয়— কিন্তু যখন ডেকে বসে থাকি, এবং জোরে বাতাস দেয় তখন একটু শীত-শীত করে । অল্পস্বল্প গরম কাপড় পরতে আরম্ভ করেছি। আজকাল রাত্তিরে “ডেকে” শোওয়াটাও ছেড়ে দিতে হয়েচে । জাহাজের ছাতে শুয়ে লোকেনের দাতের গোড়া ফুলে ভারি অস্থির করে তুলেছিল । আমরা যে সময়ে এসেছি নিতান্ত অল্প শীত পাব— দার্জিলিঙ্গে যেরকম শীত ছিল তার চেয়ে ঢের কম । ছাড়বাব সময়-সময় একটু শীত হবে হয়ত । আমি অনেকগুলো অদরকারী কাপড় চোপড় এবং সেই বালাপোষখানা মেজবেtঠানের হাত দিয়ে তোমাকে পাঠিয়ে দিয়েছি— সেগুলো পেয়েছ ত ? না পেয়ে থাক ত চেয়ে নিয়ো । সেগুলো একবার লক্ষ্মীর হাতে পড়লে সমস্ত মেজবোঠানের অালমারির মধ্যে প্রবেশ করবে। বেলির জন্তে আমি একট। কাপড় আর পাড় কিনে মেজবোঠানদের