পচেও গেছে। যাহোক ঠিক একটি হপ্তা ত চলে গেল। আমার আহার দেখে এখানকার লোকে খুব আশ্চর্য্য হয়ে গেছে। আমি ভাত খাইনে শুনে এরা মনে করে যেন আমি অনাহারে তপস্যা করচি। আটার রুটি যে ভাতের চতুর্গুণ খাদ্য তা এদের কিছুতেই ধারণা হয় না। যে ভদ্রলোক আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে সেই একবার করে আমার আহারের কথা তুলে আশ্চর্য্য প্রকাশ করে যায়। সাহাজাদপুরময় কথাটা রাষ্ট্র হয়ে গেছে। ভাত ছেড়ে দিয়েছি বলে সবাই আমাকে ভারি ধার্মিক মনে করে— আমার কুষ্টিতে লেখা আছে কি না যে বিনা চেষ্টায় আমার যশ এবং আর দুই একটা জিনিস হবে।
|
[সাহাজাদপুর, ১৮৯১] |
|
রবি |
[৮]
ওঁ
ভাই ছুটি
আজ আমার প্রবাস ঠিক এক মাস হল। আমি দেখেছি যদি কাজের ভীড় থাকে তা হলে আমি কোন মতে একমাস কাল বিদেশে কাটিয়ে দিতে পারি। তার পর থেকে বাড়ির দিকে মন টানতে থাকে।— কাল সন্ধের সময় এখানে বেশ একটু রীতিমত ঝড়ের মত হয়ে গেছে। বাতাসের গর্জনে অনেকক্ষণ ঘুমোতে দেয়নি। তোমাদের ওখানেও বোধ হয় এ ঝড়টা হয়ে গেছে। কাল দিনের বেলাও খুব বৃষ্টি হয়ে